পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেট বাণিজ্য চরমে উঠেছে। আড়ত মালিক, মৌসুমি ব্যবসায়ি ও ফরিয়াদের দৌরাত্ম্যে এবার গত তিন দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া। একদিকে সিন্ডিকেট করে চামড়ার নামমাত্র মূল্য দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে চামড়া যাতে পাশ্ববর্তী দেশে পাচার না হতে পারে, সেজন্য সীমান্তে বসানো হয়েছে কড়া পাহাড়া। এতে এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে যে, ন্যায্যমূল্য নয়, অনুরোধ করে নামমাত্র মূল্যে মৌসুমি ব্যবসায়িদের কাছে চামড়া বিক্রি করেছেন। গরুর চামড়ার দাম কিছুটা পেলেও দেশের অনেক স্থানেই ছাগলের চামড়া বিনামূল্যেই ফড়িয়াদের দিয়েছেন কোরবানির পশুর মালিকরা। এতে কোরবানির পশুর চামড়ার প্রকৃত হকদার এতিম, মিসকিন ও গরিবদের ঠকেছেন। মাদগ্রাসাগুলোর আয়ের প্রধান উৎস কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে।
জানা গেছে, রাজধানী ঢাকায় গরুর চামড়া গড়ে প্রায় ৫০০ টাকা করে দর পেলেও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় চামড়ার মূল্য ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় খাসির চামড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। কোন জেলাতে অনেকেই বিনামূল্যে খাসির চামড়া দিয়ে দেন ফরিয়াদের। ঢাকার ওয়ারিতে খাসির চামড়া বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায়ই তা ফেলে দেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার মূল্য কমে যাওয়ার অজুহাতে গত পাঁচ বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে দেয়া হয়েছে কাচা চামড়ার ক্রয়মূল্য। ২০১২ সালে প্রতি বর্গফ‚ট লবনযুক্ত গরুর চামড়ার ক্রয়মূল্য ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। ছয় বছরের ব্যবধানে ২০১৮ সালে সেই লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ৫০ আর সর্বনিম্ন ৪৫ টাকা। এ হিসেবে ছয় বছরের ব্যবধানে লবনযুক্ত গরুর চামড়া ৫০ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে। একই সময়ে খাসির চামড়া ৬০ টাকা থেকে নেমে এসেছে ১৫ টাকায়।
চলতি বছরের ১৫ আগস্টের শোক দিবস ও কোরবানিতে গরু ও ছাগল মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহ হতে পারে বলে ট্যানারি ও আড়তদার মালিকরা ধারনা করছেন। এরমধ্যে গরুর সংখ্যা ৬০ থেকে ৬৫ লাখ হতে পারে। সারাদেশের সব গরুর চামড়ার দাম গড়ে যদি ৫০০ টাকা করেও ধরা হয়, তাহলে ৬৫ লাখ গরুর চামড়ার মূল্য দাঁড়ায় ৩২৫ কোটি টাকা। যদিও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কাচা চামড়া, চামড়াজাত পন্য ও চামড়ার জুতা থেকে বাংলাদেশের রফতানি আয় ছিল ৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। এ সময়ে চামড়া শিল্পের রফতানি আয়ের ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ আসে তৈরী চামড়া (ফিনিসড লেদার) দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি।
ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, মাগুরায় প্রতিটি গরুর চামড়া প্রকার ভেদে ৩ শত টাকা থেকে ৫শত টাকা এবং খাসির চামড়া ৫০ টাকা থেকে ৬০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বকরির চামড়ার বিক্রি হয়েছে মাত্র ২০ টাকায়। রাজশাহী, নাটোর, খুলনা, কুরিগ্রাম, নেত্রকোনা, জামালপুর, জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি প্রায় একই রকম।
ঢাকার মিরপুরের আবু তালেব জানান, ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা গরুর চামড়া অনেক অনুরোধ করে ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি। তিনি আরো বলেন, আট বছর আগেও একই সাইজের গরুর চামড়া আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় অসহায় গরিব মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
আবার কোথাও মৌসুমি ব্যবসায়িরাও পড়েছেন লোকসানের মুখে। ৫০০ টাকা গরুর চামড়া কিনে লোকসানে বিক্রি করতে হয়েছে তাদের। মোহাম্মপুরের মৌসুমি ব্যবসায়ি আনিস জানান, বড় গরুর চামড়ায় সামান্য লাভ হলেও ছোট ও মাঝারি গরুর চামড়ায় লোকসান দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, মাঝারি আকারের গরুর চামড়া গড়ে ৫০০ টাকায় কিনলেও আড়তদারদের কাছে তা ৪৫০ টাকা করে বিক্রি করতে হয়েছে।
রংপুরের আদর্শপাড়ার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন,এবার চামড়া ব্যবসায় এমন লোকসান হয়েছে যে কখনই এই ব্যবসা করতে আর কেউ এগিয়ে আসবে না। তিনি বলেন, যারা কোরবানী দিয়েছেন খারাপ চামড়া হলেও ৬’শ টাকার নিচে বিক্রি করতে রাজি হয়নি। অনুরোধ মিনতি করে সেই চামড়া ৫ থেকে সাড়ে ৫’শ টাকায় কিনেছি। কিন্তু বিক্রি করতে এসে চার’শ টাকাও বিক্রি করতে হয়েছে। একই কথা বলেন, হামিদ, সাজু রহিম নামের ব্যবসায়ীরাও। সর্বনিম্ন দামে চামড়া কেনার পরও দাম পাওয়া নিয়ে চরম হতাশায় রয়েছে কুড়িগ্রামের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়িরা।
এদিকে দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসাগুলো চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে। এলাকার মানুষের দান করা চামড়া বিক্রি করেই মাদ্রাসাগুলোর অধিকাংশ ব্যয় নির্বাহ হয়। তবে গত দুই বছর ধরেই চামড়া বিক্রি থেকে আয় কমে যাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে এসব প্রতিষ্ঠান। চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের বড় ধরনের সঙ্কটের মুখে পড়তে হবে।
অভিযোগ উঠেছে, গরিবদের ঠকিয়ে ট্যানারি মালিকরা কম দরে কোরবানির পশুর চামড়া কিনে উচ্চদরে রফতানি করছেন। এতে ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়ছে, কিন্তু মাঠপর্যায়ে চামড়ার দাম কম থাকছে। এদিকে বাংলাদেশের তুলনায় ভারতে চামড়ার দাম বেশি থাকছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে চামড়া ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ বলেন, মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন সিন্ডিকেট কিংবা অনেকে সংগঠনের নামে কম মূল্যে চামড়া কিনে নিচ্ছেন। কিন্তু আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে চামড়ার দাম নির্ধারন করে দিয়েছি এবং নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনছি। আমরা একটি গরুর চামড়া গড়ে প্রায় এক হাজার টাকায় কিনছি। চামড়ার মূল্য কমে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, গত বছর হাজারীবাগ থেকে সাভারে চামড়া শিল্প স্থানান্তরের কারনে দাম কিছুটা কমিয়ে রাখতে বলেছিলাম। আর এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ করে আমেরিকা, চীনসহ বিভিন্ন দেশে নতুন শুল্কারোপের কারণে রফতানি অব্যাহত রাখার স্বার্থে স্থানীয় পর্যায়ে চামড়ার চামড়ার দাম কমাতে বাধ্য হয়েছি।
জানা যায়, ২০১৭ সালে ঢাকা থেকে প্রতি বর্গফুট কাঁচা চামড়া সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা করে কিনেন ট্যানারি মালিকরা। এটি প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে রফতানি উপযোগী ও জাহাজীকরণ করতে সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ মূল্য সংযোজন হয়। সব মিলে প্রতি বর্গফুট চামড়া রফতানিতে খরচ পড়ে ৯৭ টাকা ৬৮ পয়সা। আর প্রতি বর্গফুট চামড়া রফতানি হচ্ছে ১৮৯ টাকা করে। ফলে প্রতি বর্গফট চামড়ায় একজন রফতানিকারক ৯০ টাকার বেশি মুনাফা করছেন। এবার চামড়ার দাম আরো কমে যাওয়ায় রফতানিতে মুনাফা আরো বেশি হবে।
চামড়া ব্যবসায়িদের সুবিধার্থে কোরবানির সময় নামমাত্র সুদে সরকার বড় অংকের ঋণ দিয়ে থাকে চামড়া শিল্প সংশ্লিস্ট ব্যবসায়িদের। এমনকি হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারী স্থানান্তরেও ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি নামমাত্র মূল্যে জমি দিয়েছে। রফতানিতে প্রনোদনাসহ বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে আসলেও কম মূল্যে কাচা চামড়া ক্রয়ের গরিবদের ঠকাচ্ছেন বলে ট্যানারী মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
অবশ্য ট্যানারী শিল্প মালিকরা জানান, এ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা চামড়ার দাম ৩৩ শতাংশ কমেছে। তাই এ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা চামড়ার দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোরবানির মৌসুমে মাঠপর্যায়ে জবাই হওয়া প্রতিটি গরু থেকে গড়ে ২২ বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। ফলে সর্বোচ্চ দরে হলেও একটি গরুর চামড়া বিক্রি হয় ১ হাজার ১০০ টাকায়। কেনার পর ওই চামড়াটি বিভিন্ন হাতে গিয়ে প্রক্রিয়াজাত হয়ে এটি রফতানি হয় ৩ হাজার ৯৬০ টাকায়।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়ার বিল বা চামড়া রফতানি সংক্রান্ত ব্যাংকের এলসি রেট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মাসওয়ারি এলসি রেটে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি গরু ও মহিষের চামড়ার গড় রফতানি মূল্য পাওয়া গেছে ২.২৫ মার্কিন ডলার বা ১৮৯ টাকা (প্রতি ডলারে ৮৪ টাকা হিসাবে)। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রাস্ট ও ফিনিশড- দু’ধরনের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি হচ্ছে। গত বছর অক্টোবর থেকে চলতি বছর জুন পর্যন্ত গত ৯ মাসের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এ সময়ে প্রতি বর্গফুট ক্রাস্ট চামড়ার দাম দেড় থেকে আড়াই ডলার ও ফিনিশড চামড়ার দাম মানভেদে পৌনে ৩ থেকে ৫ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ওঠানামা করেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি হাজী মো. টিপু সুলতান বলেন, বিশ্ববাজারে মূল্য কম ও অর্থসংকটের কারণে এবার চামড়ার দাম পড়ে গেছে। ট্যানারি মালিকদের কাছে অনেক টাকা বকেয়া পড়ে আছে। তারা যদি সময়মতো টাকা দিতো, তাহলে এ সংকট হতো না। সারাদেশের ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে লবণ দিয়ে তা সংরক্ষণ করেছি। আগামী সপ্তাহ থেকে ট্যানারিগুলো চামড়া কিনবে। আশা করছি, সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বিক্রি করতে পারব।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিশে^ চামড়া, চামড়াজাত পন্য ও চামড়া জুতার বাজার ছিল ২৪৪ বিলিয়ন ডলারের। এরমধ্যে চামড়া ২৭ বিলিয়ন, পুটওয়ার ১৩৬ বিলিয়ন ও চামড়াজাত পন্য রফতানি থেকে ৮১ বিলিয়ন ডলার আসে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশ চামড়া, চামড়াজাত পন্য ও চামড়ার জুতা থেকে মোট ১০৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলার আয় করে, যা আগের বছর ছিল ১২৩ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ফিনিসড চামড়া থেকে ১৮ দশমিক ৩ কোটি ডলার, চামড়াজাত পন্য থেকে ৩৩ দশমিক ৬৮ কোটি ডলার ও চামড়াজাত জুতা রফতানি করে ৫৬ দশমিক ৫৬ কোটি ডলার রফতানি আয় করে।
বাংলাদেশের চামড়ার সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে হংকং। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে হংকংয়ে ১১ কোটি ১৮ লাখ ডলারের চামড়াজাত পন্য রফতানি হয়। একই সময়ে ৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের ফিনিসড চামড়া রফতানি হয় ওই দেশে। পরের অবস্থানে রয়েছে চীন। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের ফিনিসড চামড়া ও চামড়াজাত পন্য রফতানি করে বাংলাদেশ। একই সময়ে আমেরিকায় ৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার, জাপানে ৫ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পন্য রফতানি হয়। এছাড়া ইটালী, স্পেন, বেলজিয়াম, দক্ষিন কোরিয়া ও নেদারল্যান্ডে উল্লেখযোগ্য পরিমানে চামড়াজাত পন্যরফতানি হয়। এর বাইরে ভারতে ৪৫ লাখ ডলারের ফিনিসড চামড়া রফতানি হয়েছে।
২০১৩-১৪ থেকে ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত চামড়া শিল্পের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল গড়ে ১১ শতাংশ। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১২ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি ছিল। লেদারগুডস এন্ড ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারস এন্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানায় যে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চামড়া শিল্পের রফতানি আয় কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল হাজারীবাগ থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে ট্যানারী স্থানান্তর।
###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।