পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশবাসীকে কোরবানি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, অশুভ ও অকল্যাণকে পরিহার করে মানব কল্যাণে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। বুধবার ঈদের দিন বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, মানবতাই ধর্মের মূল বাণী। ধর্ম মানুষকে ন্যায়-নীতি ও কল্যাণের পথ দেখায়। মানবসেবার দিকনির্দেশনা দেয়। তাই সব অশুভ ও অকল্যাণকে পরিহার করে মানব কল্যাণে আমাদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেন, কোরবানি মানুষকে ত্যাগের পাশাপাশি ধৈর্য্য ধরার শিক্ষা দেয়। আমাদের ঈদ-উল-আজহা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমাদের ব্যক্তি, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও ত্যাগ ও ধৈর্য্যের গুরুত্ব অপরিসীম। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও পরম সহিষ্ণুতা প্রদর্শনের মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারে একটি সমতাভিত্তিক সুখি-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা।
ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানসহ উচ্চ পদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা,সংসদ সদস্য, রাজনীতিক, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বঙ্গভবনের দরবার হলে অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। গরুর মাংস, মুরগির মাংস, লুচি, পরোটা, পোলাও, দই বড়া, সেমাইসহ কয়েক পদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় অতিথিদের।
এর আগে প্রেসিডেন্ট সকালে হাইকোর্ট সংলগ্ন রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।