নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাত্রই ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট অধিনায়ক ইমরান খান। গত শনিবার শপথ নেয়ার পরপরই ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একে একে হাজির হয়ে গেলেন ইমরান খানের ক্রিকেটার বন্ধু এবং সতীর্থরা। যাদের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন ১৯৯২ সালে। পরিবেশটা এমন ছিল যে, পাকিস্তানি মিডিয়াগুলো বলছে- ইমরান খানকে তখন মোটেও প্রধানমন্ত্রী মনে হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, ড্রেসিংরুমে বসে সতীর্থদের সঙ্গে হাসি-তামাশায় মেতে থাকা একজন অধিনায়ক।
শপথ বাক্য পাঠ করার পর উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার সময় সাবেক সতীর্থ এবং ক্রিকেট বন্ধুদের সঙ্গেও অত্যন্ত বিনয় এবং সম্মানের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। কারণ, এরাই তো ইমরান খানের ক্যারিয়ারকে এত উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন। ইমরান খানের তখনকার সতীর্থ জাভেদ মিয়াঁদাদ, মোস্তাক আহমেদ, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, রমিজ রাজা, ইনজামাম-উল হক, মুদাসসার নজর, আবদুল কাদির, মঈন খান, জাকির খান- সবাই দল বেধে হাজির হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী হাউজে। সেখানে বৈঠক করার ফাঁকে সাবেক সতীর্থ এবং বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-তামাশায় মেতে ওঠেন ইমরান খান। মুহূর্তের জন্য যেন ভুলে যান, তিনি এই মুহূর্তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
সেই বৈঠকেই নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, পাকিস্তানের ক্রিকেটকে আমূল বদলে দেয়ার। গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিবর্তন আনা হবে, যাতে করে পাকিস্তান ক্রিকেট আবারও বিশ্বের বুকে সেরার আসন নিয়ে দাঁড়াতে পারে। যে সেরার স্থানে পাকিস্তানকে রেখে গিয়েছিলেন ইমরান খান, আবারও সেই একই স্থানে তিনি দেশের ক্রিকেটকে তুলে আনতে চান।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পরই ইমরান খান পাকিস্তান ক্রিকেটে পরিবর্তন আনার ব্যাপারে ইচ্ছার কথা জানান। এরপরই তার সঙ্গে বৈঠক করেন সাবেক সতীর্থ এবং ক্রিকেট বন্ধুরা। সেখানে নতুন প্রধানমন্ত্রী যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে পিসিবির বর্তমান চেয়ারম্যান নাজম শেঠি সম্ভবত তার চেয়ারে আর থাকত পারছেন না। তার জায়গা নিতে পারেন সাবেক আইসিসি প্রেসিডেন্ট এহসান মানি।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের সময় ছাড়াও অনেকবার অনেক অনুষ্ঠানে ইমরান খান বলেছিলেন, নাজম শেঠি কোনোভাবেই পিসিবি চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য নন। এমনকি তিনি যদি ক্ষমতায় আসেন কখনও, তাহলে কোনোভাবেই শেঠিকে তার পদে রাখবেন না।
শুধু পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রশাসনেই নয়, ক্রিকেটের সিস্টেমেও পরিবর্তন আনার চিন্তা করছেন ইমরান খান। ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামোই আমূল বদলে দেয়ার ইচ্ছে তার। ওয়াসিম আকরাম, ইমজামাম, জাভেদ মিয়াঁদাদদের সঙ্গে ৩০ মিনিটের বৈঠক করেন ইমরান খান। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইমরানের বন্ধু, ভারতীয় ক্রিকেটার এবং তার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া অতিথি নভোজিৎ সিং সিধু।
বৈঠকের শুরুতেই সাবেক সতীর্থদের ইমরান খান বলেন, তিনি সবার কথা শুনতে চান এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করতে চান। শুধু তাই নয়, এই উন্নয়নের কাজ আগামী এক কিংবা দু’মাসের মধ্যেই শুরু করতে চান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।