গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। পানি নিয়ে হাহাকারও শুরু হয়েছে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিনের বেশিরভাগ সময় ওয়াসার পাইপ থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক এলাকায় রাতভর অপেক্ষা করতে হয় পানির জন্য। বহু এলাকায় ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিও আসছে ওয়াসার পাইপ থেকে। হঠাৎ করে পানির সংকট দেখা দেয়ায় নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও পানির পাম্প ঘেরাও হয়েছে। নগরীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, ধানম-ি, কলাবাগান, মগবাজার, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, শাহজাদপুর এবং পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোড, সতীশ সরকার লেন, মুরগিটোলা, মিরহাজীরবাগ, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, পোস্তগোলা, সুরিটোলা, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার প্রভৃতি এলাকায় দু’সপ্তাহ ধরে পানির সংকট চলছে। শাখারীবাজারের বাসিন্দা রঞ্জিত কুমার জানান, প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে পানির সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কখনও পাওয়া গেলেও এই পানির সঙ্গে ময়লা চলে আসে। পানিতে দুর্গন্ধও রয়েছে। ওয়াসার কর্মকর্তাদের বলার পরও সংকট দূর হয়নি।
পুরান ঢাকার রিয়াজউদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, মিরহাজীর বাগ আদর্শ স্কুলের সামনে ওয়াসার একটা পাম্প রয়েছে। কিছুদিন আগে এখানে নতুন পাম্প বসানো হয়। কিন্তু ওই পাম্প দিয়ে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলে পাম্পের অপারেটর দাবি করেন। ফলে পুরো এলাকায় হাহাকার চলছে। ঢাকা ওয়াসার একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ধলপুরে অবস্থিত সায়েদাবাদ শোধনাগারের দু’টি প্যান্ট থেকে প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার পানি শোধন করে নগরীতে সরবরাহ করা হয়। সায়েদাবাদের দু’টি শোধনাগারেই বিঘ্ন দেখা দেয়। এক পর্যায়ে শোধনাগার দু’টি বিকল হয়ে পড়লে পানি শোধন বন্ধ হয়ে যায়। পরে শোধনাগার দু’টি ঠিক করে চালু করা হলেও সংকট কাটেনি। এছাড়া মিরপুর এলাকায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পুরনো পাম্পগুলোর পানি উত্তোলন ক্ষমতা কমে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।