Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের খামারিরা

সিরাজগঞ্জ থেকে সৈয়দ শামীম শিরাজী | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কোরবানীর ঈদের আর মাত্র ক’দিন বাকি। আর তাই সিরাজগঞ্জের খামারীরা গরু মোটাতাজা করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জানা গেছে, কৃত্রিম উপায়ে ডেক্সষ্টরেট জাতীয় ওষুধ ও ইনজেকশন ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, কাজিপুর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, চৌহালী, এনায়েতপুর, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খামারীরা তাদের গবাদি পশুর যেমন নায্যমূল্য পাননি, তেমনি খুয়েছেন সুনাম। লোকশান গুনেছেন শত কোটি টাকা। সে বদনাম ঘুচিয়ে এবার শতভাগ প্রাকৃতিকভাবে ঘাস, খর ও দানাদার খাদ্য ব্যবহার করে পশু মোটাতাজাকরণ করছেন জেলার খামারীরা। ভারতীয় গরু কোরবানীর ঈদ পর্যন্ত অনুপ্রবেশ বন্ধ থাকলে অতীতের লোকশান পুষিয়ে নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামারীরা।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া কান্দাপাড়া গ্রামের তালুকদার ডেইরী ফার্মের মালিক বোরহান উদ্দিন তালুকদার ইনকিলাবকে জানান, তার ফার্মেও এ বছর ৩২টি ষাড় রয়েছে। ফার্মে কর্মরত নয়জন নিয়মিত এগুলোর প্রতিপালনে কাজ করছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে ঈদ উপলক্ষে গবাদী পশুর দাম ভালো পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। তিনি জানান, ভারত থেকে যদি পশু আমদানি বন্ধ করা হয় তাহলে দেশের খামারীরা লাভবান হবে।
শাহজাদপুর উপজেলার শিয়ালকোলের আশরাফ আলী, রতনকান্দি আব্দুল হাই, জানপুর গ্রামের আবু ইউসুফ, পিপুল বাড়িয়ার সিদ্দীক আলীসহ অনেকেই জানান, সিরাজগঞ্জের মধ্যে শাহজাদপুর এলাকায় সবচেয়ে বড় ও দামি গরু তারাই মোটাতাজা করেন। চড়া দামের খর, খৈল, ভুষি ও নালী, গমের ভাত এবং কাঁচা ঘাস খাইয়ে এসব গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে এই গরুগুলির বেশির ভাগই ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আকতারুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, সিরাজগঞ্জের গো-খামারীরা পশু পালনে সচেতন। খামারীরা পশু পালনে কোনো প্রকার ওষুধ ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করছেন। তিনি আরও জানান, বেকার জনগোষ্ঠী ব্যাপকভাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গরু মোটাতাজা করে প্রতি বছর দেশের গোমাংসের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে শত শত কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। এতে দেশের বেকারের সংখ্যা যেমন কমে যাবে, অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে সফলতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে দারিদ্র্যকে জয় করে সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ