মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : নিউইয়র্ক প্রাইমারির ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাইলফলক
হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ গুরুত্বপূর্ণ এ প্রাইমারির নির্বাচনই মূলত বলে দেয় কে হচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। প্রার্থিতা বাছাইয়ের শেষ পর্যায়ে গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে জয় পেয়েছেন ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান দলের দুই অগ্রসর প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বিজয়ের ফলে তারা দুজনই নিজেদের প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত করলেন। নিউইয়র্ক প্রাইমারিতে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন পেয়েছেন ৫৮ ভাগ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স পেয়েছেন ৪৩ ভাগ ভোট। অন্যদিকে মঙ্গলবারের নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ ভোট পেয়েছেন রিপাবলিকান দলের ট্রাম্প। তিনি পেয়েছেন মোট ৬০ ভাগ ভোট। এখানে ২৫ ভাগ ও ১৫ ভাগ ভোট পেয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন জন কাসিচ ও টেড ক্রুজ। তবে নিউইয়র্কের এই ভোটে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ভোটার তালিকা থেকে হারিয়ে গেছে ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি ভোটারের নাম। আসছে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আরও পাঁচটি রাজ্যে দুই দলেরই প্রাইমারি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ট্রাম্প ও হিলারি উভয়েই ভাল করবেন বলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নিউইয়র্কের ফলাফলে আভাস মিলেছে।
খবরে বলা হয়, নিউইয়র্কের প্রাইমারিতে জয়লাভ করাটা হিলারি ও ট্রাম্প উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নিউইয়র্ক ট্রাম্পের নিজের রাজ্য আর হিলারি এর আগে আটটি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সাতটিতেই বার্নি স্যান্ডার্সের কাছে পরাজয় বরণ করেছিলেন। এছাড়া রিপাবলিকান দলের জন্য যে প্রশ্নটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে ট্রাম্প নিউইয়র্কের ৯৫ জন প্রতিনিধির সমর্থন পাবেন কী না। জুলাই মাসে দলীয় সম্মেলনের আগে ট্রাম্পকে ১২৩৭ জন প্রতিনিধি পেতে হবে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য। এখন পর্যন্ত তার রয়েছে ৭৪৪ জন প্রতিনিধি, সিনেটার ক্রুজের আছে ৫৫৯ এবং গভর্নর কেসিকের ১৪৪ জন প্রতিনিধি বা ডেলিগেট। গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের প্রাইমারিতে হিলারি পেয়েছেন ৫৯ শতাংশ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স পেয়েছেন ৪১ শতাংশ ভোট। এ বিজয়ের ফলে হিলারি এখন অনেকটা নিশ্চিন্ত মনেই নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ভাবতে পারবেন। এদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ৬১ শতাংশ ভোট। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী জন কেসিক ২৪ শতাংশ ও টেড ক্রুজ ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বিবিসি ও রয়টার্স বলছে, মঙ্গলবার রাজ্যটিতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট দলীয় মনোনয়ন দৌড়ের ভোটাভুটি (প্রাইমারি) অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্ক শহরের ধনকুবের ট্রাম্প নিজ রাজ্যে জয় পাওয়ায় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ১,২৩৭ ডেলিগেট সমর্থন পাওয়ার দিকে আরও এগিয়ে গেলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নিউইয়র্কের সাবেক সিনেটর হিলারি এ জয়ের ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সকে পেছনে ফেলে মনোনয়ন পাওয়ার দিকে অনেকদূর এগিয়ে গেলেন। এর আগে আটটি রাজ্যের ভোটাভুটির সাতটিতেই হিলারিকে হারিয়ে ছিলেন স্যান্ডার্স। ডেমোক্রেট দলীয় মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন প্রত্যাশীকে ২,৩৮৩ ডেলিগেটের সমর্থন পেতে হবে। এক্ষেত্রে ১৮৬২ ডেলিগেটের সমর্থন নিয়ে হিলারি ১১৬১ ডেলিগেটের সমর্থন পাওয়া স্যান্ডার্স থেকে অনেক এগিয়ে গেলেন। সেখানে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে ট্রাম্প সহজেই দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ ও ওহিওর গভর্নর জন কাসিচকে পরাজিত করেন। রয়টার্স, বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।