রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রংপুরের পীরগাছায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুহাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন ইজারাদারেরা। পীরগাছা উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ছয়টি হাটে গরু ছাগল পাওয়া যায়। এসব হাট প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ উপজেলা প্রশাসন ইজারা দিয়ে থাকেন।
ঈদ উপলক্ষে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাট হিসেবে চৌধুরানী হাট, পাওটানার হাট, অনন্দানগর হাট ও দেউতির হাটে পর্যাপ্ত গবাদিপশু পাওয়া যায়। বেচা বিক্রিও অনেক হয়। পছন্দের পশু ক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য এবারো হাটগুলো জমে উঠেছে। কিন্তু বাধ সেধেছে ইজারাদারেরা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করছেন তারা।
একই সাথে দিতে হচ্ছে দ্বি-মুখী হাসিল। একটি গরু বিক্রি হলে বিক্রেতার নিকট দুইশত টাকা ও ক্রেতার নিকট পাঁচশত টাকা এবং একটি ছাগল বিক্রি হলে বিক্রেতার নিকট একশত ৫০ টাকা এবং ক্রেতার নিকট থেকে দুইশত টাকা পর্যন্ত আদায় করে নেয়া হচ্ছে। ফলে ক্রেতা বিক্রেতারা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
ক্রেতা-বিক্রেতারা অভিযোগ করেন, সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে হাটে হাসিল আদায়ের তালিকা না টাঙ্গিয়ে সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করছেন ইজারাদাররা। বিভিন্ন দপ্তর ও স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করেই এসব হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
পশু ব্যবসায়ী আতাউর রহমান জানান, পীরগাছা উপজেলার হাটগুলোতে প্রশাসনের তদারকি না থাকায় ইজারাদারেরা ইচ্ছা মতো পশুর হাটে চাঁদা আদায় করছেন। ফলে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা-বিক্রেতারা ইজারাদারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
চৌধুরানীর হাটে গরু ক্রেতা আব্দুস ছালাম বলেন, সরকার নির্ধারিত হাসিলের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে ইজারাদাররা।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবির জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, বিষয়টি দেখা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।