Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাঙন রোধ করলেন এলাকাবাসী

আশাশুনিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে হাহাকার

সাতক্ষীরা থেকে আক্তারুজ্জামান বাচ্চু | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

শত শত কোটি টাকার মাছের ঘের ও দুই শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর অবশেষে খোলপেটুয়া নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা বাঁধতে সক্ষম হয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এলাকাবাসীর অক্লান্ত পরিশ্রমে গতকাল শুক্রবার বাঁধ বাধার কাজটি সফল হয়েছে।
সাতক্ষীরার আশাশুনির শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, তার ইউনিয়নের থানাঘাটা এলাকার খোলপেটুয়া নদীর ভেড়ি বাঁধটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। গত রোববার দুপুরে জোয়ারের প্রবল তোড়ে বেড়িবাঁধের বেশ কিছু জায়গা ভেঙে যায়। এতে মাড়িয়ালা, থানাঘাটা ও বকচর গ্রাম প্লাবিত হয়। এরপর বিকেলে স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু সোমবার দুপুরের জোয়ারে তা আবারো ভেঙে পড়ে। ফলে নতুন করে ইউনিয়নের হাজরাখালী, পুইজালা, মাড়িয়ালা, থানাঘাটা ও বকচর গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় শত শত বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। পানিবন্দী হয়ে পড়ে দুই শতাধিক পরিবার।
তিনি জানান, গত পাঁচ দিনে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে শত কোটি টাকার মাছ ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই শতাধিক পরিবার। অনেকের বাড়ি ঘর এখনো পানিবন্দি হয়ে রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান অরো জানান, স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেও গত কয়েকেদিনের এলাকাবাসীর অফুরন্ত প্রচেষ্টায় বাঁধটি বেঁধে ফেলা সম্ভব হয়েছে। বাঁশ. বালুর বস্তা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিতে এ পর্যন্ত তার নিজের ১৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি জানান, এখনো কাজ চলছে। যে কারণে খরচের পরিমাণ আরো বাড়বে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙন

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ