নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতের টানা টেস্ট হারের ময়নাতদন্ত থামছেই না। এ নিয়ে নানা ক্রিকেটবোদ্ধা নানান মন্তব্য করছেন। পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা যেমন বলেছেন ইংল্যান্ডের মত কঠিন কন্ডিশনে যথেষ্ঠ প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলার খেসারত দিচ্ছে ভারত। আবার অনেকে মনে করছেন, ভারতের এই দল অতিমাত্রায় কোহলি নির্ভর। তবে শেষোক্ত মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন সাঙ্গাকারা।
প্রাক্তন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক এক সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘বিরাট গত কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে আসছে। অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করছে বিরাট। পাশাপাশি ভারতের অন্য ব্যাটসম্যানরাও দারুণ।’ সাঙ্গাকারা আরও বলেন, ‘পূজারা আর রাহানে খুব বড় মাপের ব্যাটসম্যান। পূজারার টেস্ট ক্রিকেটে গড় প্রায় ৫০। রাহানেও বিদেশের মাঠে ৫০ গড়ে রান করেছে। তা ছাড়া ভারতীয় দলে আরও ব্যাটসম্যান রয়েছে। লোকেশ রাহুল ছন্দে থাকলে দুরন্ত, মুরলী বিজয়, শিখর ধবন, দীনেশ কার্তিক এই নামগুলো কিন্তু কম বড় নয়।’
এ তো গেল কোহলি নির্ভরতার কথা। ভারতের হারের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে যথেষ্ঠ প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলাকেই দায়ী করছেন সাঙ্গাকারা। টেস্ট সিরিজে নামার আগে ভারত একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল। সেটা নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। চার দিনের ম্যাচ যখন কমিয়ে তিন দিনে আনা হয়। সেটাই মনে করিয়ে সাঙ্গাকারা বলেন, ‘প্রথম দু’টেস্টে ভারতের সমস্যায় পড়ার কারণ হয়তো প্রস্তুতির অভাব। তাই এ ব্যাপারে ভারতীয় দলকে আরও ভাবনা-চিন্তা করতে হবে। কারণ টেস্ট খেলতে নেমে প্রস্তুতি নেওয়া যায় না। অনুশীলন আর প্রস্তুতি ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বোলাররা যে প্রশ্নগুলো ছুড়ে দিয়েছে তার সমাধান খুঁজতে হবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের।’ প্রাক্তন লঙ্কান ক্রিকেটার আরও যোগ করেন, ‘উপমহাদেশের তুলনায় এখানে পরিবেশের যে তফাৎ থাকে তার সুবিধা খুব ভাল করে নিতে পেরেছে ইংল্যান্ডের বোলাররা।’
সাঙ্গাকারার সুরে কথা বলেছেন পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদও। ভারতের প্রস্তুতির ঘাটতি সরফরাজকে রিতিমত অবাক করেছে। কয়েক দিন আগেই ইংল্যান্ড থেকে টেস্ট সিরিজ ড্র করে এসেছে পাকিস্তান। সেকথা টেনে এনে তিনি বলেন, ‘আমি দুবার ইংল্যান্ড সফর করেছি এবং পাকিস্তান দুবারই ভালো করেছে। আমার মতে এশিয়ার যে দলই ইংল্যান্ডে যায় তাদেরই কষ্ট হয়। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়, কারণ সেখানকার কন্ডিশন খুবই কঠিন।’
২০১৬ সালেও চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল পাকিস্তান। সেবারও তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ভালো ফল পেয়েছিল তারা। সরফরাজও চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীদের ভুলটা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘পাকিস্তানের প্রস্তুতি ভালো ছিল। আমার প্রথম সফরের কথা (২০১৬) যদি বলি, আমরা সিরিজের ২৫ দিন আগেই ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম। ১০ দিনের ক্যাম্প করেছি এবং এর পর দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি- যা আমাদের অনেক সাহায্য করেছে।’ সরফরাজদের উল্টো কাজটাই করেছে ভারত। টেস্টের আগে মাত্র একটি প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থা ছিল। তাও গরমের কারণে একদিন কমিয়ে আনে তারা।
উল্লেখ্য, ৫ ম্যাচের সিরিজে প্রথম টেস্টে কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিলেও লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে শ্রেফ উড়ে যায় ভারত। আগামীকাল থেকে নটিংহামে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। এর আগে পুরো এক সপ্তাহ হাতে সময় পেয়েও কোন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেনি ভারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।