Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন শনিবার ইমরান খানের শপথ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

আজ শুক্রবার পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান বিশ^খ্যাত সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান নিশ্চিত ভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হচ্ছেন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর সভাপতি শাহবাজ শরীফ। তবে তার বিজয় লাভের কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামীকাল ১৮ আগ¯ট শনিবার ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। তিনি হবেন পাকিস্তানের ২১ তম প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তানে গত ২৫ জুলাই একাদশতম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই ১১৬ আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। পাকিস্তান পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য ১৩৭ টি আসনের সমর্থন প্রয়োজন। এ অবস্থায় ইমরান খানকে স্বতন্ত্র সদস্যদের সমর্থনসহ কোনো ক্ষুদ্র দলের সাথে জোট সরকার গঠন করতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে এর আগে ১১ আগস্ট ইমরান খানের শপথ নেয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৮ আগস্ট করা হয়। খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পিটিআই চেয়ারম্যান বিজয়ী হবেন এমনটা হলফ করে বলা যায়। পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতারা ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত ঘোষণা করেন আনুষ্ঠানিক ভাবে। ইমরান খানের বানিগালার বাসভবনে ওই বৈঠক হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের মনোনয়ন পত্র জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ে জমা দেন আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রধান শেখ রশিদ। দৃশ্যত ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না। তার প্রতিদ্ব›দ্বী হয়ে দাঁড়াতে পারেন পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরীফ। ইমরান খানকে আটকে দিতে পাকিস্তানের বিরোধী ১১টি দল জোট গঠন করে। শাহবাজ শরীফের বাসভবনে তাদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়। তাকে বৃহত্তর বিরোধী দলীয় জোটের প্রার্থী করা নিয়ে বৃহত্তর বিরোধী দলের মধ্যে রয়েছে বিরোধ। সে বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পিএমএলএনের পক্ষ ত্যাগ করছে বিরোধী দলগুলো। এ ইস্যুতে পিএমএলএনের সঙ্গে দ‚রত্ব বজায় রেখে চলেছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও মুত্তাহিদা মজলিশে আমল (এমএমএ)। এর ফলে বিরোধী দলীয় জোটের প্রতি বড় রকমের আঘাত এসেছে। বিশেষ করে পিপিপির সঙ্গে দ‚রত্ব কমানোর জন্য বৃহস্পতিবারও চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যদি তাদের মধ্যকার দ‚রত্ব না কমে তাহলে ইমরান খান খুব সহজেই হবেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে পাকিস্তানে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট মামনুন হেসেনের মেয়ার আর এক মাসেরও কম বাকি থাকতে এ তফসিল ঘোষণা করা হল।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইনের প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল শেষ হবে। সংবিধান অনুসারে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে এক মাস আগে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হয়। তদনুযায়ী ৮ আগস্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। কিন্তু এ সময় জাতীয় বা প্রাদেশিক পরিষদ কার্যকর না থাকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার প্রশ্ন আসেনি।
সিনেট সদস্য, জাতীয় পরিষদ সদস্য ও চার প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি ইলেক্টোরাল কলেজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। গোপন ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
সাধারণ ভাবে জাতীয় নির্বাচনের এক মাস পর অথবা প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
তফসিলে ২৭ আগস্ট বেলা ১২টার মধ্যে ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি, পেশাওয়ার ও কোয়েটায় প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল, ২৯ আগস্ট ইসলামাবাদে মনোনয়নপত্র বাছাই, ৩০ আগস্ট প্রত্যাহার ও ৪ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ