মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত নয়াদিল্লীতে সেনা সদরদপ্তরে জনবল কাটছাটের আদেশ দিতে যাচ্ছেন। একই সাথে সমন্বিত ব্রিগেড গঠন এবং ফ্রন্টলাইনে দায়িত্ব পালনের জন্য সংরক্ষিত সেনাদের আহ্বান করতে যাচ্ছেন তিনি। দ্য প্রিন্ট সেনাবাহিনীর একটি ডকুমেন্ট হাতে পেয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে এই পদক্ষেপগুলো ভারতের সামরিক বাহিনীর কর্মকান্ডের মধ্যে বিপ্লব নিয়ে আসবে। ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে বর্তমানে অতিরিক্ত জনবল রয়েছে যারা অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে। অপারেশনাল এলাকাগুলোতে যেখানে জনবল প্রয়োজন, সেখানে তাদের ব্যবহার করা হবে। প্রশাসনিক মেদ ছেটে ফেলার অংশ হিসেবেই সেনা সদর দপ্তরের জনবল কাটছাট করা হচ্ছে। নয়াদিল্লিতে পোস্টিংয়ের জন্য যেসব সেনা বা কর্মকর্তারা তদবির করে থাকেন, তাদের আগ্রহেও কিছুটা পানি ঢালবে এই পদক্ষেপ। এই ডকুমেন্টের আরও দুটো গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সমন্বিত ব্রিগেড গঠন করা, যেখানে আরও বেশি সংখ্যাক ব্যাটালিয়ন থাকবে এবং ফ্রন্টলাইনে জনবলের ঘাটতি পূরণের জন্য যারা দুই বছরের মধ্যে অবসরে গেছেন, সেই রিজার্ভ সেনাদের আহ্বান জানানো হবে। ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপগুলো ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে বিপ্লব নিয়ে আসবে এবং সেনাবাহিনীকে আরও সক্রিয় করে তুলবে। জনবল কাটছাঁট করায় সেটা সেনাবাহিনীর ‘টিথ-টু-টেল’ অনুপাত বজায় রাখার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক হবে। টিথ-টু-টেল অনুপাত হলো যুদ্ধরত সেনাদের সহায়তার জন্য যে পরিমাণ সহযোগী জনবল দরকার সেই পারস্পরিক অনুপাত। সহায়তাকারী সেনাদের (টেল) সংখ্যা যত কম হবে, যুদ্ধরত সেনাদের (টিথ) জন্য সম্পদের পরিমাণ তত বাড়বে এবং তারা তত বেশি দক্ষতার সাথে ভূমিকা রাখতে পারবে। সারা বিশ্বেই সামরিক বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনীর দেশ চীন গত ২০০৭ সালে ব্যাপক পুনর্গঠন করেছে সেনাবাহিনীতে। গত দুই বছরে তারা তাদের কমান্ডগুলোকেও ঢেলে সাজিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম বড় পদক্ষেপ হলো সবগুলো ভারতীয় ফ্রন্টিয়ারকে একক ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডে নিয়ে আসা। ১২ জুলাই সেনাবাহিনী একটি নোট জারি করে। এর পরই সেনাপ্রধানের প্রস্তাবিত এই আদেশগুলো সামনে আসলো। নোটে বলা হয়েছে, ৩৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এর ক্যাডারগুলো ঢেলে সাজাতে চায় সেনাবাহিনী। একটি প্রস্তাব হলো ব্রিগেডিয়ার পদ বিলুপ্ত করা। বেশ কিছু আইডিয়া নিয়ে এখানে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। আরআইআইএমএ-তে যে সমন্বিত ব্রিগেডের কথা বলা হয়েছে, সেগুলোর প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচ ব্যাটালিয়ন সেনা থাকবে। বর্তমানে প্রচলিত ব্রিগেডগুলোতে তিন ব্যাটালিয়ন করে সেনা রয়েছে। প্রতিটি ব্যাটালিয়নে রয়েছে ৯০০-১১০০ জন। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।