Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘাটতি থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলে দেশী গরুতেই কোরবানি

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কোরবানিযোগ্য পশুর কিছুটা ঘাটতি থাকলেও তা দেশীয় গরু-খাসির মাধ্যমেই মিটবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল মহল। গত কয়েক বছরের মত আসন্ন ঈদ-উল-আযহাতেও দক্ষিণাঞ্চলে ভারতীয় গরুর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই বলে দাবী অধিদপ্তরের। দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় এক লাখ গবাদী পশু কোরবানী হবে। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় দপ্তরের মতে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় প্রায় ৩২ লাখ গরু ও ষাড় ছাড়াও আড়াই লাখ মহিষ এবং সাড়ে ১১ লাখ ছাগল ও খাসি রয়েছে। এছাড়াও লক্ষাধিক ভেড়া রয়েছে এ অঞ্চলে। অধিদপ্তরের মতে, এর মধ্যে প্রায় ৬৫ হাজার বিভিন্ন ধরনের কোরবানিযোগ্য গবাদী পশু রয়েছে। গতবছর যে সংখ্যা ছিল ৬২ হাজারের কিছুটা বেশী। ফলে প্রায় ৩৫ হাজার পশুর ঘাটতি থাকলেও কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর সহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ইতোমধ্যে বেপারিরা দক্ষিণাঞ্চলে গবাদী পশুর আমদানী শুরু করেছে।
ইতিমধ্যেই ট্রাকে করে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক গবাদিপশু আসছে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন বাজারে। তবে এর মধ্যে কোন ভারতীয় গরু নেই। মূলত দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে ভারতীয় গরুর কোন কদর কখনোই ছিলনা, এখনো নেই। এ অঞ্চলে ৯৯ ভাগ কোরবানিই হচ্ছে দেশীয় গবাদি পশুর দ্বারা।
প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মতে দেশে বর্তমানে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ৪৪ লাখ গরু এবং ৭১ লাখের বেশী ছাগল ও খাসি রয়েছে। গত বছর দেশে ১ কোটি চার লাখেরও বেশী পশু কোরবানী হয়। এবছর তা আরো কিছুটা বাড়বে বলে আশা করছে অধিদপ্তর। এবারের কোরবানির হাটেও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান টিম কাজ করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোরবানি

৯ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ