Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাইকোর্ট বললেন ওষুধ প্রশাসনের ব্যর্থতায় রোগীদের ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

ওষুধ প্রশাসনের ব্যর্থতায় দেশে রোগীদের এতো ভোগান্তি বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। চোখ হারানো’ ২০ জনকে ক্ষতিপূরণ দেয়া সংক্রান্ত রুলের শুনানি শেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের দেয়া প্রতিবেদনের আলোকে এমন মন্তব্য করেন আদালত। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত মামলায় জারি করা রুলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২১ অক্টোবর দিন ঠিক করেন আদালত।
গতকাল রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের বেঞ্চ র এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। অপরদিকে ইম্প্যাক্টের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. আমীর উল ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। এছাড়া ওষুধ কোম্পানির পক্ষে ছিলেন শ. ম রেজাউল করিম।
অমিত দাশগুপ্ত জানান, চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা প্রাপ্ত চোখ হারানো ২০ জনের প্রত্যেককে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২১ অক্টোবর রায় ঘোষণা করবেন আদালত। তিনি আরও জানান, শুনানির এক পর্যায়ে আদালত ওষুধ প্রশাসনের ব্যার্থতার করণে দেশে রোগীদের এত ভোগান্তি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। রিটের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, চোখ অপারেশনে যে ওষুধ ব্যবহার হয়েছে তার রেজিস্ট্রেশন করা যায়নি। প্রতিবেদনে এ তথ্য থাকায় আদালত ওষুধ প্রশাসনের ব্যার্থতা নিয়ে কথা বলেন।
এর আগে গত ১ এপ্রিল চোখ হারানো এই ২০ জনের প্রত্যেককে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একটি জাতীয় দৈনিকে চক্ষুশিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন! শীর্ষক শিরোনামে ২৯ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ