Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অনেক প্রতিষ্ঠান এক অংকের বেশি সুদ নিচ্ছে : রিহ্যাব

স্বল্প সুদে গৃহঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করায় সরকারকে সাধুবাদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৫৯ এএম

এখনও অনেক প্রতিষ্ঠান এক অংকের বেশি সুদ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে আবাসন খাতের সংগঠন রিহ্যাব। গতকাল সোমবার রাজধানীর সুন্দরবন হোটেলে সরকারি কর্মচারীদের গৃহঋণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন। রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ঋণের সুদ হার এক অংকে নামিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। যদিও অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও এক অংকের বেশি সুদ নিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সরকারের আরো কঠোর নজরদারি দরকার। এদিকে সরকারি কর্মচারীদের স্বল্প সুদে গৃহঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে রিহ্যাব। সংগঠনটি আশা করছে, এই ঋণের ফলে তাদের ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে। আবাসন খাতও ঘুরে দাঁড়াবে। 

আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর হলে আবাসন খাতে স্থবিরতা কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। অনেক নাগরিকের বাসস্থানের সংকুলান হবে। আবাসনের জন্য বর্তমানে ১০ শতাংশ সুদ হারে একজন সরকারি কর্মচারী সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা ঋণ পাচ্ছেন।
রিহ্যাব জানায়, স¤প্রতি সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহঋণের পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সচিবরা ও জাতীয় বেতন স্কেলের পঞ্চম থেকে প্রথম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা এর আওতায় সর্বনিম্ন ৩০ ও সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। এ ঋণের মোট সুদহার ১০ শতাংশ। তবে সরকার ৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে। এতে কর্মচারীদের সুদ দিতে হবে ৫ শতাংশ হারে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২০ বছর। প্রায় ১২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ঋণ সুবিধা পাবেন। সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা পাবেন।
আলমগীর শামসুল আলামিন জানান, কর্মচারীরা এককভাবে এ ঋণ নিতে পারবেন। পাশাপাশি দলগতভাবেও ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করা যাবে। একটি ফ্ল্যাটের দামের ১০ শতাংশ নিজে বিনিয়োগ করতে হবে, ৯০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
সরকারের আওতাধীন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও কার্যালয়গুলোতে স্থায়ী পদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও ঋণ পাবেন বলে উল্লেখ করে রিহ্যাব।
আলমগীর শামসুল আলামিন সরকারি কর্মচারীদের যাচাই-বাছাই করে ফ্ল্যাট কেনার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় যাচাই করতে হবে, তা রিহ্যাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। নতুন ক্রেতাদের উচিত তা দেখে নেওয়া। পাশাপাশি যে কোম্পানির কাছ থেকে ফ্ল্যাট কেনা হবে, সেটি রিহ্যাবের সদস্য কি না, তা যাচাইয়ের পরামর্শ দেন তিনি।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, এর ফলে আবাসন খাতে গ্রাহক বাড়বে। ঋণ সুবিধা নিয়ে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আবাসন খাতে আসবে। এতে এখাতের পাশাপাশি এর সাথে যুক্ত শিল্পখাতগুলোও চাঙ্গা হবে। তাই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দ্রুত পরিপত্র জারি করার আহ্বান জানা তিনি।
আবাসন খাতের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, এখন বেচাকেনা মোটামুটি ভাল। তবে অনেক প্রতিকূলতার সাথে মোকাবিলা করে এ খাত টিকে আছে। আবাসন খাতে সেকেন্ডারি মার্কেট চালুর অগ্রগতি বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, সেকেন্ডারি মার্কেট বিষয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। খুব দ্রæতই এ বিষয়ে সরকারের সম্মতি পাব বলে আশা করছি।
নির্বাচনী বছরে ব্যবসার পরিবেশ কেমন হওয়া দরকার জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো, আশাকরি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার গঠন হবে। তবে আগের মত কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা বা নৈরাজ্য চায় না ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সহসভাপতি মোঃ আবুল কৈয়ূম চৌধুরী, আকরাম উল্লাহ ইমাম খান প্রমুখ।####



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিহ্যাব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ