Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভরা মৌসুমেও মেঘনায় ইলিশের আকাল

হারুনুর রশিদ, রায়পুর (লক্ষীপুর) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার অংশে মেঘনা নদীতে ভরা মৌসুমে ইলিশের দেখা মিলছে না। পহেলা জুলাই শুরু হওয়া ইলিশ মৌসুম ১ মাস অতিক্রম করলো। অথচ জেলেদের জালে কাক্সিক্ষত ইলিশ ধরা না পড়ায় হতাশা বিরাজ করছে জেলে পাড়ায়।
নদীতে জাল, নৌকা, ট্রলার, মাছ ধরার সামগ্রী নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ৮ হাজার জেলে। মেঘনা নদীর এপাড় ওপাড় চষে বেড়াচ্ছেন জেলেরা। হাজারো চেষ্টার পরেও দেখা মিলছে না মেঘনার রুপালি ইলিশের। আড়ৎদারদের মোটা অংকের দাদনের টাকা এনজিও ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে চিন্তায় পড়ছেন জেলেরা।
যদিও মৎস্য অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তারা এখনো আশা ছাড়েননি। তাদের মতে, আসন্ন অমাবস্যার পর অর্থাৎ আগস্টের মধ্য ভাগ থেকেই ইলিশের বিচরণ বৃদ্ধি পাবে নদ-নদীতে। সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা পড়বে। তবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হবে কিনা তা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণ নদ-নদীতে নাব্য হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন এসব কারণে ইলিশ তার গতিপথ পরিবর্তন করে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ‘গাঙে ইলিশের এইরহম আহাল আগে দেহিনাই’ নদীতে কি রকম মাছ পাওয়া যাচ্ছে জানতে চাইলে প্রায় সব জেলেই অভিন্ন ভাষায় উত্তর দেন।
গত ১ মাস থেকে ইলিশের সংকটের কারণে রায়পুরে খুচরো বাজারে মাঝারি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা। ইলিশ কম ধরা পড়ার কারণ জানতে চাইলে রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, জলবায়ু বৈশ্বিক পরিবর্তন হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে আগস্টের পরে সাগর ছেড়ে নদীতে প্রবেশ করছে ইলিশ। ১লা জুলাই থেকে ইলিশ মৌসুম শুরু হলেও মূলত আগস্টের শেষ ভাগ থেকে অক্টোবর ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত নদ-নদীতে সবচেয়ে বেশি ইলিশ পাওয়া যায়। গোটা বছরে লক্ষ্যমাত্রা ৬০ শতাংশের বেশি ইলিশ পাওয়া যায় ওই সময়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ