পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে ঃ মৌসুমেও ইলিশ না পেয়ে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে কোনোমতে চলছে জেলেদের সংসার। এ করুণ পরিস্থিতির কারণে এ বছর জেলেদের মাঝে থাকছে না ঈদ আনন্দ।
জেলেদের অভিযোগ, ‘নদীতে কাক্সিক্ষত ইলিশ না পাওয়ায় চাঁদপুরে ইলিশের দাম বৃদ্ধি। এনজিও কিস্তি আর ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।’ এ কারণে চাঁদপুরের জেলে পল্লীতে চলছে হাহাকার।
এদিকে আসছে ঈদুল ফিতর, সেই দিক চিন্তা করে জেলেরা আরো হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় সময় পার করছে।
এদিকে চলতি মৌসুমে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে এবং বাজারে অপেক্ষাকৃত সস্তায় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক। গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে প্রদত্ত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের ফলে ইলিশের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ৩.৮ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। এতে বাজারে ইলিশের সরবরাহ ও প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশের উৎপাদন কাক্সিক্ষত পর্যায়ে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে সরকার ধারাবাহিক গবেষণা পরিচালনার নিমিত্তে নদীকেন্দ্র চাঁদপুরে একটি ইলিশ গবেষণা উইং স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ইলিশের উৎপাদনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য ‘ইলিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান। জেলেদের মতে, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগরের লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ছে নদীতে। আর তাতেই ডিম ছাড়তে না পেরে কমছে ইলিশের সংখ্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগরের লবণাক্ত পানি নদীতে আসায় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করছেন তারা।
বৈশাখ মাসে ইলিশের মৌসুম শুরু হয়। গত বছর এসময় ইলিশে সয়লাব ছিল বাজার। কিন্তু এ বছর একেবারেই ইলিশ শূন্য এখানকার মৎস্য এলাকা বড় স্টেশন মাছঘাট। মৌসুমেও মাছ না থাকায় বসে বসে দাদনের টাকা খরচ করছেন জেলেরা। কেউ কেউ জাল বুনে, ক্যারাম খেলে, তাস খেলে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
নদীতে ইলিশ না থাকায় মালিকের কাছ থেকে নেয়া দাদনের টাকা কীভাবে শোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলেরা। চাঁদপুর বড় স্টেন মোল্ডহেড এলাকায় কথা হয় কয়েকজন জেলের সাথে। তারা জানান, ‘সারা দিন জাল মেরামত করে স্বপ্ন দেখে নদীতে মনের মতো ইলিশ পাওয়া যাবে।
কিন্তু সে স্বপ্ন আর পূরণ হয় না। যা ইলিশ পাচ্ছে দাদনের খরচের টাকা, তেল খরচেই শেষ হয়ে যায়।
নদীতে এখন ইলিশ একদমই কম।
যা পাচ্ছে তা আড়তদারের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
তাদের দাবি ‘ইলিশ যদি বেশি দামে বিক্রি না করা হয়, তাহলে পুরাই পথে বসতে হবে। তাদের আশা মাসখানেকের মধ্যে স্বপ্ন পূরণের ইলিশ পাবেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।