প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘এই দুঃখ (শোক) মাসে আর দুঃখ বাড়াবেন না। আপনিতো বলেছিলেন চাকরির ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না। তারপরও কোটা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করে এখন নির্যাতন করছেন’। ‘আপনি কেন রাস্তায় নির্যাতিত ছাত্রদের গ্রেফতার করে কারাগারে রেখেছেন? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রকে মুক্তি দিন’।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার এবং মামলা প্রত্যাহারসহ হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা আজাদ উদ্দিন পাটোয়ারী সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, শাহজাহান মিয়া স¤্রাট প্রমুখ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্র যখন দুর্নীতিতে ভরে গেছে, তখন আমাদের সাধারণ ছাত্ররা দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে রাষ্ট্র মেরামত করতে হয়। তাদের এই আন্দোলন যে সঠিক ছিল গতকালও সরকার বলেছেন, তার আগে পুলিশ বলেছেন। তারপরও গ্রেপ্তারকৃত ২২ জন সাধারণ ছাত্রকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না কেন?’ তিনি বলেন, ‘সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি সরকার মেনে নিয়েছেন। তারপরেও এই কয় দিনে ৭ জন সাধারণ জনগণ কীভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়? তাহলে আপনারা কি দাবি মেনে নিলেন? এটা কি আপনাদের চালাকি ছিলো? চালাকি করে দেশে উন্নয়ন হয় না।’
নিরাপদ সড়ক চাই’র আন্দোলনের ২২ জন শিক্ষার্থী ও কোটা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিন। জনগণের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন। সাংবাদিকদের স্বাধীনতার ফিরিয়ে দিন। তাদেরকে স্বাধীনভাবে লেখার সুযোগ দিন। তাহলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’