বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আসন্ন পবিত্র কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে প্রভাবশবলীরা পাবনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠকে ব্যবহার করছে পশুর হাট হিসেবে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ আগে থেকেই গরুর হাট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। আবার কিছু হাট নতুন করে বসানো হয়েছে। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে প্রভাবশালীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পশুর হাট বসিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠকে গরু-ছাগলের হাট হিসেবে ব্যবহার করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ছাড়া ঈদের আগে কয়েকটি হাটকে নির্দিষ্ট হাটের এলাকার বাইরে সড়কে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। ফলে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, পাবনা জেলার আতাইকুলা হাট, কাশীনাথপুর হাট, মিয়াপুর রসুলপুর হাট, চতুরহাট, পৌরসভা হাট, নাকালিয়ারহাট, দাপুনিয়া, পুস্পপাড়া, টেবুনিয়া, আওতাপাড়া, মুলাডুলি, অরণকোলা, রেলবাজার, শরৎনগর হাট, বনওয়ারীনগর হাট সহ জেলার ছোট বড় ২৫টি হাট রয়েছে।
এ সব হাটের অর্ধেক হাট স্থাপন করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠে। কাশীনাথপুর হাট সম্প্রসারণ করা হয়েছে শহীদ নুরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ মাঠে, পুস্পপাড়া মাদ্রাসা মাঠে বসানো হয়েছে পুস্পপাড়া গরুর হাট, শরৎনগর সিনিয়র মাদ্রাসা এবং বড়াল কিন্ডার গার্টেন মাঠে বসানো হয়েছে পৌরসভা গরুর হাট। রেল বাজার গরুর হাট বসানো হয়েছে অমৃতকুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
ভাঙ্গুড়ার প্রাচীণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বড়াল কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ মো: আব্দুল কুদ্দুস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পশুর হাট বসানো ঠিক নয় দাবী করে বলেন, প্রতি বছর ভাঙ্গুড়া পৌরসভা এখানে হাট বসায়। এতে আমাদের করার কিছু থাকেনা। এ ছাড়া হাট কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে কোন অর্থ সহায়তাও করে না। প্রভাবশালী , প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কতিপয় ইজারাদরের যোগসাজশে এই কাজ করা হয়েছে। এখান থেকে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের উত্তোলিত (খাজনার) অর্থ ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠদানসহ চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। এ নিয়ে ইজারাদারের সাথে আজ রবিবার শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা “কলেজ মাঠে গরুর হাট চলবে না” “কলেজ হলো শিক্ষার মাঠ-এখানে কেন গরুর হাট” কলেজের পরিবেশ রক্ষার জন্য গরুর হাট চলবে না” ইত্যাদি লেখব ফেস্টুন , ব্যানার লিখে প্রতিবাদ করে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাবনার জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন জানান, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠকে পশুর হাটের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। একই সাথে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পন্য বিক্রির জন্য শহরের কয়েকটি দোকানে সব সময় মাইক বাজানো হচ্ছে। এটি জন উপদ্রব । আইনগত ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ শুরু করতে যাচ্ছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।