পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শেয়ার বাজারে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কিছুটা বাড়ালেও অপর দুটি মূল্য সূচকের পতন ঘটেছে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৯৪ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ ৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৬ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৯ শতাংশ কমেছে। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ২ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দশমিক ১৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১০৩টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২১১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দাম।
এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৮৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৮৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা দশমিক ২৫ শতাংশ। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৪২৯ কোটি ১ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৭ দশমিক ৭৬ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিবিএস ক্যাবলসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৬৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এবি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ১০৯ কোটি ২৫ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন। লেনদেনে এরপর রয়েছে- সায়হাম টেক্সটাইল, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিস, ড্রাগন সোয়েটার, লিগাসি ফুটওয়্যার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ফার কেমিক্যাল এবং মুন্নু সিরামিক।
এছাড়া বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই
দাম কমেছে। এতে শেয়ারের দামে বড় অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ ৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৬ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৯ শতাংশ কমেছে। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ২ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দশমিক ১৮ শতাংশ।
ধরনের পতন হয়েছে। আর বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না থাকায় লেনদেন হয়েছে খুবই অল্প পরিমাণে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ১৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে শেয়ারের দাম কমেছে ৩০ দশমিক ৬০ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৪৩ টাকা ৩০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৯৮ টাকা ২০ পয়সায়, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ১৪১ টাকা ৫০ পয়সা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।