রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় দীঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশ হত্যাকান্ডে মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে আ.লীগ নেতাদের আসামি করা হয়েছে দাবি করে স্থানীয় আ.লীগ নেতাদের নেতৃত্বে লোহাগড়ায় মানববন্ধন পালিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে নড়াইল-কালনা সড়কের উপর ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুঞ্জুরুল করিম মুন, উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ সিহানুক রহমান, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, শ্রমিক লীগ নেতা মোজাম খান, মিজানুর রহমান মিন্টু ও এজাহার ভুক্ত আসামি শেখ মাসুদুজ্জামান প্রমুখ। বক্তারা দাবি করেন পলাশ হত্যাকান্ডে প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামান, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাসুদুর রহমান, দীঘলিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি স ম অহিদুর রহমানকে আসামি করা হয়। প্রকৃত খুনিদের পরিবর্তে হয়রানি করার জন্য আওয়ামী লীগের এইসব নেতাদের আসামি করা হয়েছে। যার প্রমাণ হিসেবে তারা বলেন এই মামলায় তিন জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে অথচ তাদের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি। উল্লেখ্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে লতিফুর রহমান পলাশকে গুলি করে ও কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নিহত পলাশের ভাই সাইফুর রহমান হিলু বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে লোহাগড়া থানায় করেন। পুলিশ কুমড়ি গ্রামের আলামিন (২৭), রোমান আলী (২২), গোপিনাথপুর গ্রামের কিবরিয়াকে (২৩) আটক করে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় পলাশ হত্যায় সরাসরি জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেয়। মামলাটি এখনও তদন্ত চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।