বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের দোহাজারির জামিজুরিতে প্রায় তিন কানি (৬০ গণ্ডা) জমির মালিক কৃষক মৃদুল সেন। ওই জমির ধান ঘরে তুলতে প্রতি কানিতে তার খরচ পড়েছে ২৪ হাজার টাকা। সে ধান এখন ফড়িয়ারা কিনতে চাইছেন ১১ থেকে ১২ হাজার টাকায়। এক আঁড়ি (১০ কেজি) ধান উৎপাদনে খরচ ২৫০ টাকা। আর বিক্রি করতে হচ্ছে ১১০ বা ১২০ টাকায়। একজন দিনমজুরের বেতন দিনে ৭০০ বা ৮০০ টাকা। অর্ধেক জমির ধান কাটা হয়নি। খরচ পোষাতে না পেরে ধান কাটা বন্ধ রেখেছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরে ধানের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে এসব কথা জানান মৃদুল সেন। কর্মসূচিতে আসা আনোয়ারা উপজেলার দুলা মিয়াও জানালেন তার কষ্টের কথা। ফড়িয়ারা প্রতি কেজি ধান ১০ থেকে ১২ টাকায় কিনছে। তিনি বলেন, ধান বেচতে পারছি না। লোকের (দিনমজুর) অভাবে কাটতেও পারছি না। ধান কেটে ঘরে তুললে বেচে যা দাম পাব তাতে কিছুই থাকবে না।
মানববন্ধনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা বলেন, আমরা চাই গ্রাম পর্যায়ে ধান-চাল ক্রয় কেন্দ্র হোক। সরকার যে ধানের দাম এক হাজার ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে, সেই দামে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হোক এবং এটা হতে হবে সব গ্রামে।
কৃষক সমিতির দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি তাজুর মুল্লুক বলেন, কৃষককে তার দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হবে। তা না হলে কৃষকের ন্যায্য দাবি কেউ মেনে নেবে না। মানববন্ধনে সমিতির দক্ষিণ জেলার সভাপতি আবদুল নবী, সাধারণ সম্পাদক পুলক দাশ, উত্তর জেলার সভাপতি কামাল সাত্তার, দক্ষিণ জেলার সহ-সম্পাদক স্বপন দত্ত বক্তব্য দেন। এরপর সেখান থেকে মিছিল নিয়ে কৃষক সমিতির নেতাকর্মী ও কৃষকরা চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান স্মারকলিপি দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।