মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পদক্ষেপকে ‘দস্যু মানসিকতা’ অ্যাখ্যা দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সব ধরনের উপায় বেছে নেওয়ার অধিকার বেইজিংয়ের আছে বলেও বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছে তারা। বাণিজ্য বিরোধকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে উত্তেজনা যে তরতর করে বাড়ছে চীনা গণমাধ্যমের ভাষ্যে তা প্রতিফলিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। চলমান এ ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ এরই মধ্যে দুই দেশের ইস্পাত থেকে অটোমোবাইল পর্যন্ত অসংখ্য শিল্পখাতে প্রভাব ফেলেছে। কোন পণ্য কখন কার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা। চলতি মাসের ২৩ তারিখ থেকে ওয়াশিংটন ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা আমদানি পণ্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে এমন পরিকল্পনা জানার পর বুধবার সন্ধ্যায় বেইজিংও সমমূল্যের মার্কিন পণ্যে পাল্টা ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছে। চীন এর আগেও মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা শুল্ক আরোপ করে জবাব দিয়েছিল। “যুক্তরাষ্ট্র যদি তার দস্যু মানসিকতা থেকে বেরিয়ে না আসে তাহলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে চলমান ঠোকাঠুকি আরও বেড়ে যেতে পারে। বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে চীন, যদিও আর্থিক সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আরও বেশি চাহিদার পাল্টায় লড়াই করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকছে না,” চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র চায়না ডেইলি তাদের সম্পাদকীয়তে এমনটাই বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের পাল্টায় এখন পর্যন্ত ১১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যে শুল্ক কার্যকর কিংবা আরোপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক যুদ্ধে বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে চীন সরকার ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের একগুচ্ছ মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩৩টি পণ্যের ওপর নয়া এ শুল্ক আরোপ করা হবে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে জ্বালানী, স্টিলের তৈরি পণ্য, গাড়ি ও চিকিৎসা সামগ্রী। চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, আগামী ২৩ আগস্ট থেকে মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক কার্যকর হবে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের অতিরিক্ত ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর যে ২৫ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছেন তাও একইদিন কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন একটি সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, দেশটি চীনের ২৭৯টি পণ্যের ওপর শতকরা ২৫ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে। আমেরিকার ওই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বিনা কারণে মার্কিন সরকার এ শুল্প আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের বিরাট অংশই এ পাল্টা শুল্কের আওতায় পড়লেও এখন পর্যন্ত অপরিশোধিত তেল ও বৃহৎ এয়ারক্রাফটের মতো মুনাফাধারী মার্কিন পণ্যগুলো চীনের কোনো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। “চীন আত্মবিশ্বাসী, স্বার্থ সুরক্ষায় অনেক উপায় আছে,” দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির বৃহস্পতিবারের সকালের খবরেও এমনটাই বলা হয়েছে। চীনের ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষক জিয়া জিয়ুডং পিপলস ডেইলির বিদেশ সংস্করণে অভিযোগ করে বলেছেন, শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘চীনের অগ্রগতিকে সঙ্কুচিত’ করতে চাইছে। দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির সংকটকালে বেইজিং যে ধরনের ‘স্টিমুলাস পরিকল্পনা’ নিয়েছিল টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য চীনেরও সে ধরনের ‘অপ্রচলিত উপায়গুলোর’ দিকে ঝোঁকার কথা বিবেচনায় নেওয়া উচিত। রয়টার্স, পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।