Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাজধানীতে সেই যানজট সঙ্কট গণপরিবহনের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের টানা ৯ দিনের আন্দোলন শেষে আস্তে আস্তে চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা। নগরীর বেশিরভাগ সড়কে যানজট ছিল পূর্বের মতো। তবে গত সোমবার থেকে সব ধরণের যান চলাচল শুরু হলেও পরিবহন সঙ্কট ছিল চরম। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরও সপ্তাহখানিক লাগতে পারে ধারণা করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ছিলো আন্দোলনের আগেকার স্বাভাবিক দিনের মতই যানজট। বেশিরভাগ সড়কে দীর্ঘক্ষণ গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। এছাড়া আগের স্বাভাবিক দিনের তুলনায় গণপরিবহনের উপস্থিতি ছিলো একদমই কম। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ নগরবাসীকে। অনেককে বাসের জন্য অপেক্ষা করে বাসে উঠতে না পেরে ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা গেছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের হামলায় বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া ট্রাফিক সপ্তাহ চলায় মামলা, আটক ওজরিমানার ভয়ে কাগজপত্র ঠিক না থাকা অনেক গণপরিবহন মালিক তাদের বাস-মিনিবাস রাস্তায় নামাচ্ছেন না। ফলে আন্দোলন শঙ্কা থেকে জনমনে স্বস্তি ফিরলেও যানজটের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মেলেনি সাধারণ মানুষের।
গতকাল রাজধানীর সদরঘাট, গুলিস্তান, যাত্রবাড়ী, রামপুরা, বাড্ডা, উত্তরা, মহাখালী ও মিরপুর রোডে সব ধরণের যান চলাচল করতে দেখা গেছে। ফলে সকাল থেকেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যালগুলোতে যানজট দেখা দেয়। কিন্তু গণপরিবহনের সংখ্যা ছিলো তুলনামূলক কম। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত মানুষ। বাসের অপেক্ষায় তাদের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর একটি বাস আসলে তাতে হুমরি খেয়ে পড়েন যাত্রীরা। আবার অনেককে পায়ে হেটে অফিস ও কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে।
সদরঘাট থেকে ৭ নম্বর বাসে গাবতলী যাওয়ার সময় রুকনুজ্জামান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, সদরঘাট ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় প্রায় আধাঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর বাসটিতে উঠতে পেরেছেন। কিন্তু গুলিস্তান পর্যন্ত আসতে তার প্রায় ১ ঘন্টা সময় লাগে। পুরো রাস্তা জুরে ছিল চরম যানজট। গাবতলী যেতে দিন শেষ হয়ে যাবে বলে ওই শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা।
গুলশান থেকে পল্টনে আসা ব্যবসায়ী হাসান ইকবাল জানান, আন্দোলনের পরে আজ (গতকাল) সবচেয়ে বেশি গাড়ী চোখে পড়েছে। তবে তা আগের তুলনায় কম। দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থেকেও বাসে উঠা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, বাসের সংখ্যা কম থাকলেও যানজট ছিল স্বাভাবিক দিনের মত। পল্টন আসতে তার প্রায় তিন ঘন্টার বেশি সময় লেগেছে।
মিরপুর থেকে ফার্মগেটগামী কয়েকজন যাত্রী জানান, আন্দোলনের পরে গতকালই মিরপুর রোডে সর্বোচ্চ গাড়ী দেখা গেছে। ফলে যানজটও ছিলো ভয়াবহ। কারওয়ান বাজার সিগন্যালে অপেক্ষমান হাবিব জানান, ঢাকাকে আগের মতোই মনে হচ্ছে। বাস কম থাকলেও যানজটের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স খতিয়ে দেখা হয়। এ ধরনের যানবাহন আটক ও চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশের বিশেষ টিম অবস্থান নেয়। নগরীতে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার রাস্তাগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে সব ধরনের মোটরযানে তল্লাশি চালানো হয়। এ কারণে ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হলে বরাবরই রাস্তায় যানবাহন কমে যায়। এরই প্রভাব পড়েছে গণপরিবহনে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলেন, আন্দোলনকারীরা অনেক বাস ভাংচুর করায় সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে সেগুলো রাস্তায় নামানো হলে যান চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যানজট

১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
৯ জানুয়ারি, ২০২৩
১৯ ডিসেম্বর, ২০২২
২৭ নভেম্বর, ২০২২
২৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ