বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সাংবাদিকদের উপর হামলাকরীদের খুঁজে বের করতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, যারা শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে উস্কানি দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে এবং সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়েছে তাদেরকেও চিহ্নিত করে খুব শিগগির আইনের আওতায় আনা হবে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের দাবীর সাথেও একত্মতা পোষন করেন।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মদিন’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে ২৫-৩০ বছরের যুবকদের স্কুলের ড্রেস পড়িয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় একটি মহল প্রচন্ড হতাশ। এরা কারা? এরা বিএনপি জামাত ও ১/১১’র কুশীলব। সেই ১/১১'র কুশীলবদের নেতা ছিলেন ড. কামাল হোসেন। তিনি ওয়ান ইলেভেনের পরবর্তী সরকারের সময় বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন ‘এ সরকার যতদিন ইচ্ছা ততদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে’ অর্থাৎ তিনি ১/১১’র কুশীলবদের নেতা ছিলেন।
তিনি বলেন, এখন ১৪ কোটি মানুষের হাতে ক্যামেরা এবং রাস্তায় সিসি ক্যামরা সুতরাং কোন কিছুই লুুকোনোর সুযোগ নেই। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, ফজলুল হক মিলন, আসিফ নজরুলসহ সবাই কোমলমতিদের উস্কানি দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে। আবার কিছু কিছু অভিনেত্রী এমন অভিনয় করলেন যেন সবকিছু নিজের চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন। আপনারা নাচ গান নিয়েই থাকতেন। আপনারা কেন শিশুকিশোরদের উস্কানি দিতে গেলেন। গুজব রটনাকারি এসব অভিনেত্রীদের পেছনেও কারা আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এই ষড়যন্ত্র করেছে, যারা পিছন থেকে বাতাস দিয়েছে এবং দিচ্ছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হোক। যেন দেশে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা আর কেউ সৃষ্টি করতে না পারে।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।