বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনায় যমুনার ভাঙন ভয়াবহরূপ নিয়েছে। আর মানুষের আর্তনাদ মিশে যাচ্ছে নদী ভাঙনের সাথে। প্রতিদিন নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ী ,ফসলের মাঠ। ভাঙন রোধ করা না গেলে স্কুল,কলেজ,মাদরাসা , কমিউনিটি ক্লিনিক নদীগর্ভে বিলীন হতে আর বেশী সময় লাগবে না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। পাউবো’র ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কোন কাজে আসছে না। নদীর গর্ভে মানুষের সব কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। পাবনার বেড়া উপজেলার চর পেচাঁকোলা গ্রাম যমুনা নদীর প্রবল ভাঙনের কবলে পড়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থী, গ্রামবাসী নিজেদের ভিটা-বাড়ি,স্কুল-কলেজ মাদরাসা নদীর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রতিবাদে নদী পাড়ে জোর হয়েছেন।
চর পেচাঁকোলা গ্রামের আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুস সোবহান, ডা: চাঁদ আলী সরদার, মো: গোলাম মোস্তফা, আনিছুর রহমান, আলহাজ্ব আওরঙ্গজেব, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক রতন কুমার দাস, শিক্ষার্থীরাসহ গ্রামের শতশত মানুষ নদীর ঘাটে সমবেত হয়ে এই প্রতিবাদের আওয়াজ তোলেন। তারা জানান, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করা ও পাউবো’র কাজে অনিয়মের কারণে নদী ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না । নদীর পাড়ের মানুষ শঙ্কা-আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। জানা গেছে, মাত্র ৯০ দিনে শুধু একটি পাড়ার ১০০ পরিবারের সব কিছু নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে। প্রতিদিন ৩০-৪০ ফুট করে জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সপ্তাহ খানেক আগে পাউবো ৫ হাজার বস্তা জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এতে কোন কাজ হয়নি। বালু খেকোরা অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন ও বোমা মেশিন চালিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে । ফলে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।