পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ডিসেম্বর, জানুয়ারীর মধ্যে দেশের সব নাগরিকের কাছে উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিগত এই দলিলটি যত্মে রাখা এবং এর অপব্যবহার যাতে না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
এসময় স্মার্ট কার্ডের অপব্যবহার রোধে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে সিইসি বলেন, স্মার্ট কার্ডের যাতে কোনো প্রকার অপব্যবহার না হয়, কেউ যেন অপব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সিইসি জানান, ২৭ জেলায় বিতরণের মাধ্য দিয়ে দেশের সব জেলায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে সব নাগরিকের কাছে এটি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।
সিইসি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর একটি দলিল। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত দলিলও বলা যেতে পারে। সবাইকে এটি পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করা হবে। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র অত্যন্ত তথ্যসমৃদ্ধ এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি নির্ভর একটি দলিল। আমরা আশা করি যে উদ্দেশ্যে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়েছে এবং বিতরণ করা হলো তার যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।
সিইসি বলেন, এটি সাথে থাকলে মনে করবেন আপনি পৃথিবীর সাথে আছেন। এটা যদি সাথে থাকে তাহলে পৃথিবীর যেখানেই থাকবেন, সেখানেই আপনার পরিচিতি থাকবে। সুতরাং এটাকে যত্ম করে রাখবেন। এটার যাতে কোনো রকম অপব্যবহার না হয় এবং কেউ যাতে অপব্যবহার না করতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন তিনি। ইসি জানায়, গতকাল আট জেলায় স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরমধ্যে ভোলায় সিইসি কেএম নূরুল হুদা, ময়মনসিংহে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, চাঁদপুরে মো. রফিকুল ইসলাম, নওগাঁয় কবিতা খানম, যশোরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মুন্সিগঞ্জে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মৌলভীবাজারে অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান এবং মাদারীপুর জেলায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
এই আট জেলার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সিং সিষ্টেম ব্যবহার করে ইসি সচিবালয়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে উক্ত ভিডিও কনফারেন্স করা হয়। উদ্বোধনকালে ময়মনসিংহ জেলা বাদে বাকি সাতটি জেলার জেলা প্রশাসক ও এসপিদের বক্তব্য শোনে ইসি।
দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরের ভাংগা এবং বাকি ২৬টি জেলার সদর উপজেলাগুলোতে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হচ্ছে। যেসব সদর উপজেলায় কার্ড বিতরণ করা হবে সেগুলো হল- মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, ফেনী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চুয়াডাংগা, মাগুরা, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, যশোর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, ভোলা এবং মৌলভীবাজার। এর আগে গত ১ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে গোপালগঞ্জ, বগুড়া, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, নোয়াখালী, পাবনা, গাইবান্ধা ও নেত্রকোণাসহ ২৭ জেলায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন করা হয়।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন আইডিইএ প্রকল্পটি নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড দিয়ে আসছে। বিশ্ব ব্যাংক ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির সহায়তায় আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় ২০১১ সালের জুলাইয়ে নয় কোটি নাগরিককে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার চুক্তি হয়।
২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ঢাকার দুই সিটির সঙ্গে কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহলের নাগরিকদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়। পরবর্তীতে সব সিটি করপোরেশনেও বিতরণ হয়। ঢাকঢোল পিটিয়ে বিতরণ কাজ শুরু হলেও অর্ধেকের বেশি সময় পার হয়েছে শম্বুক গতিতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্মার্ট কার্ড বিতরণের হার খুবই হতাশাজনক। এই পর্যায়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হতে যাওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বর্তমানে দেশে ১০ কোটি ১৮ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। আগামী বছর একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে মৃতদের বাদ ও নতুনদের যোগ করে এ সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১০ কোটি ৪৬ লাখে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।