পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্মার্টকার্ড বিতরণের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন সমস্যায় এখনো রাজধানীর অর্ধেক এলাকায় বিতরণের কাজ শেষ হয়নি। রাজধানীর যেসব এলাকায় কার্ড বিতরণ চলছে, সেসব এলাকার প্রায় ২৫ লাখ নাগরিকের মধ্যে মাত্র ১৪ লাখ স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা আগামী নভেম্বরের মধ্যে রাজধানীতে বিতরণযোগ্য সব নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেয়ার কথা বললেও পর্যাপ্ত প্রচারের অভাব, ভাসমান ভোটার, স্থানান্তরিত ভোটার, চাকরিজীবী, কারিগরি ত্রæটি ও সমন্বয়হীনতার কারণে স্মার্টকার্ড বিতরণে আশানুরূপ ফল মিলছে না।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের তথ্যভাÐারে ১০ কোটি ১৭ লাখেরও বেশি নাগরিকের তথ্য সংরক্ষিত আছে। চলমান বিতরণ কার্যক্রমের আওতায় ৩১ জানুয়ারি, ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত নাগরিকদের মধ্য থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে নয় কোটি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নিবন্ধিত নাগরিকদের লেমিনেটেড পরিচয়পত্র বা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হয়নি। এসব নাগরিকদের জন্য আপাতত কাগজে মুদ্রিত লেমিনেটেড পরিচয়পত্র দেয়া হবে। মহাপরিচালক বলেন, আর স্মার্টকার্ড দেয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির মাধ্যমে সম্পূর্ণ গুণগত মান অক্ষুণœ রেখে দেশেই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র উৎপাদনের প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার ৫২ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৭ ভোটারের স্মার্টকার্ড বিতরণ করবে ১৫টি থানা নির্বাচন অফিস। ইতোমধ্যে কোতোয়ালি, উত্তরা, গুলশান, ধানমন্ডি, মতিঝিল, সবুজবাগ ও রমনা থানা নির্বাচনী এলাকায় বিতরণ শেষ হয়েছে। চলমান রয়েছে মিরপুর, লালবাগ, ক্যান্টনমেন্ট, মোহাম্মদপুর, ডেমরা, পল্লবী, তেজগাঁও ও সূত্রাপুর এলাকায়। এই ১৫টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে ১২টি এলাকায় কার্ড বিতরণের পরিসংখ্যান বলা হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এসব এলাকার ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮টি স্মার্টকার্ডের মধ্যে ১৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৫০টি বিতরণ করা হয়েছে। নানা জটিলতায় কার্ড পাওয়া যায়নি এক লাখ এক হাজার ১১৩ জনের। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের পরিচালক আবদুল বাতেন ইনকিলাবকে বলেন, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় ৫৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ; কুড়িগ্রামে ৬১ দশমিক ২৪ শতাংশ; চট্টগ্রামে ৫৮ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং রাজশাহীতে ৮০ দশমিক ১৫ শতাংশ কার্ড বিতরণ হয়েছে।
ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো: শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকায় স্মার্টকার্ড বিতরণের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। বাকি ৪০ শতাংশ নাগরিক নানা কারণে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কার্ড নিতে পারেননি। নির্ধারিত সময়ে স্মার্টকার্ড নিতে না পারলেও পরে থানা নির্বাচন অফিস থেকে তা সংগ্রহ করা যাবে।
গত বছরের ৩ অক্টোবর রাজধানীতে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হয়। চলতি বছর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বিতরণ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে চোখের আইরিশ ও দশ আঙগুলের ছাপ দিয়ে ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৬৩ জন নাগরিক নিজেদের স্মার্টকার্ড নিয়েছেন, যা বিতরণযোগ্য ভোটারের ৫৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। রাজধানীর পাশাপাশি কুড়িগ্রামে বিতরণ শুরুর পর মার্চে চট্টগ্রামে ও এপ্রিলে রাজশাহীতেও এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।