নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একের পর এক বিস্ময়কর ঘটনার জন্ম দিতেই যেন ক্রীড়াঙ্গনে নাম লিখিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের ক্রীড়াবিদ এলেনা টাইস। খেলোয়াড় হিসেবে নিজের প্রাথমিক ক্যারিয়ার ক্রিকেটে গড়লেও বর্তমানে এলেনা স্থায়ী হয়েছেন হকিতে। দুই জায়গাতেই জন্ম দিয়েছেন বিস্ময়ের।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল এলেনার। গড়েছিলেন সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার রেকর্ড। পরে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ১৫টি ওয়ানডে ও ২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
এরপরই পালাবদল এলেনার ক্যারিয়ারে। ছেড়ে দেন ক্রিকেট, পুরোপুরি মননিবেশ করেন হকিতে। ২০১৬ সালে ১৮তম জন্মদিনের সপ্তাহ দুয়েক প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন আয়ারল্যান্ডের নারী হকি দলের হয়ে। অভিষেকের দুই বছর পর ২০ বছর বয়সে তিনি নারী হকি বিশ্বকাপে নিজ দেশের হয়ে জিতে নিয়েছেন রানারআপ পুরষ্কার রৌপ্য পদক।
গত ১৬ বছরে প্রথমবারের মতো নারী হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম বিশ্বকাপ ছিল এলেনারও। এতোদিন পর খেলতে এসেই বাজিমাত আইরিশদের। ফাইনাল ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৬-০ গোলে হেরে গেলেও, পুরো টুর্নামেন্টে ভালো খেলার সুবাদে রানারআপ হয়েছে তারা। এই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এলেনা।
ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিনের অর্থনীতিত শিক্ষার্থী এলেনা শুরু কলেজের দলের ডিফেন্ডার হিসেবে খেলতেন। দেশের হয়ে দুইটি খেলায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলা খুব অল্প সংখ্যক নারী ক্রীড়াবিদের একজন এলেনা। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার এলিস পেরি (ক্রিকেট ও ফুটবল), নিউজিল্যান্ডের সুজি বেটস (ক্রিকেট ও বাস্কেটবল), ক্রিকেটের বেটসের সতীর্থ সোফি ডেভিন (ক্রিকেট ও হকি) দুটি খেলার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলেছেন।
এখনো পর্যন্ত ক্রিকেট ও হকি মিলিয়ে প্রায় ১০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এলেনার ঝুলিতে। ২০১১ সালে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে শুরু এলেনার ক্রিকেট ক্যারিয়ার। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়েই শেষ তার ক্রিকেট অধ্যায়। মাঝের চার বছর আইরিশদের হয়ে আরো ৩৮ বার মাঠ মাতিয়েছেন তিনি।
তবে শুধু ক্রিকেট আর হকিতেই সীমাবদ্ধ নয় এলেনা টাইসের ক্রীড়া জীবন, হ্যাম্পাশায়ারের বেসিংটকে জন্ম নেয়া এলেনা ৪ বছর বয়সে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাপলিসে। সেখানে তিনি বাস্কেটবল খেলার মাধ্যমে নিজের ক্রীড়াজীবনের শুরু করেন।
৬ বছর বয়সে পরিবারসমেত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পাড়ি জমান এলেনা। সেখানেই পুরোপুরি আগ্রহের সহিত শুরু করেন ক্রিকেট। অস্ট্রিয়ার স্থানীয় ক্লাবের হয়েও খেলেন তিনি। ৯ বছর বয়সে আয়ারল্যান্ডে এসে স্কুল ক্রিকেটে মন দেন তিনি। একই সাথে হকির প্রতি নিজের আগ্রহটাও জানিয়ে রেখেছিলেন ২০ বছর বয়সী এলেনা।
স্কুল ক্রিকেট খেলতে খেলতে বড় হওয়া এলেনা সময় পেলেই খেলতে ফুটবল, রাগবি ও ঘোড়দৌড়। ১৩ বছর বয়সে আয়ারল্যান্ডের জাতীয় দলে অভিষেক হওয়ার আগপর্যন্ত দোদুল্যমানই ছিল এলেনার ক্যারিয়ার। পরে ক্রিকেটের পাশাপাশি অনুর্ধ্ব-১৬ ও অনুর্ধ্ব-১৮ হকি দলেও খেলেছেন তিনি। আর ২০১৫ সালে ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি হকিতেই মননিবেশ করে বছর তিনেকের মধ্যেই পেয়ে গেলেন হকি বিশ্বকাপে রানারআপ হওয়ার গৌরব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।