নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাকিব আল হাসানের একটা ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে এখন তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। ঘটনাটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বাংলাদেশ দলের টিম হোটেলে ফেরার পর। একটা ভিডিওতে দেখা যায়, একজন সমর্থকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর অশ্লীল ভঙ্গি করেছেন সাকিব। সেই সমর্থক আবার সাকিবকে কিছু বলায় একটু পর সাকিব তার দিকে প্রায় তেড়েই গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তামিমসহ অন্য খেলোয়াড় আর উপস্থিত দর্শকেরা মিলে শান্ত করেন তাকে। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। এ ঘটনার পর এবার নিজের দিকটিও পরিষ্কার করলেন সাকিব।
ক’দিন আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে একটা পোস্ট করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সাকিব। প্রশ্ন উঠেছিল, নিরাপদ সড়ক নিয়ে কিছু বলাতেই কি সাকিব খেপে গিয়েছিলেন? ফ্লোরিডা থেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা শেখ মিনহজ হোসেন তার ফেসবুক বার্তায় লিখেছেন এই ঘটনার ব্যাখ্যা। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘সাকিব এক দর্শকের সাথে খুব রাগ করছেন, এমন একটা ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। ওখানে ক্যাপশন হচ্ছে যে, একজন লোক সাকিবকে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ব্যাপারে প্রশ্ন করায় সাকিব তেড়ে গেছেন! প্রথমে বলে নেই, যত যাই হোক, সাকিবের ওভাবে তেড়ে আসা ঠিক হয়নি। আমি সাকিবের তেড়ে আসা সমর্থন করছি না। কিন্তু আসলে প্রশ্নটা মোটেও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ব্যাপারে ছিল না। ওই লোক সাকিবের কাছে বারেবার অটোগ্রাফ চাইছিল। সাকিব প্রথমে একটা সেলফি তুলেছে। এরপর সমর্থকটি ভিডিও করতে চেয়েছিল। সাকিব তখন ম্যাচ শেষে টায়ার্ড। সাকিব পারবে না বলে সামনে চলে গেলে লোকটা পিছন থেকে “ভাব মারায়” বলে বাজে ভাষা ব্যবহার করেন। সাকিব তখন তেড়ে আসেন। ওখানে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন ছিল না।’
এর একদিন পর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সাকিব লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় ভক্ত এবং অনুসারীদের উদ্দেশে কিছু কথা বলতে চাই। স¤প্রতি আমাকে নিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে, যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর লবিতে আমাকে এবং আমার একজন তথাকথিত “ফ্যান”-এর সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করতে দেখা যায়। এই ক্লিপটি সম্পূর্ণ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করে না। পর-পর ম্যাচ থাকায় আমি এবং আমার সহকর্মীরা বেশ ক্লান্ত ছিলাম এবং আমরা আমাদের রুমে ফিরে যাচ্ছিলাম। আমরা আমাদের নিজস্ব সরঞ্জাম এবং ব্যাগ বহন করছিলাম, তাই আমাদের হাত পূর্ণ ছিল; তখন কোনোভাবেই অটোগ্রাফ দেওয়া সম্ভব ছিল না।‘
সাকিব আরও লিখেন, ‘আমরা সর্বদাই আমাদের ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করি এবং তাদের সঙ্গে ছবি তুলে, অটোগ্রাফ দিয়ে মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু ভক্তদেরও বুঝতে হবে যে, আমরাও মানুষ। আমরা মাঠে একটা বিজয় অর্জনের জন্য প্রাণপণ লড়াই করি। আমাদের কি ব্যস্ত কিংবা ক্লান্ত অনুভব করার অনুমতি নেই? আমরা আপনাদের সমর্থন বুঝি এবং সবসময় প্রশংসা করি। চেষ্টা করি আপনাদের সমর্থনের প্রতিদান যাতে আমরা মাঠে ভালো খেলার মাধ্যমে দিতে পারি। কিন্তু মাঝে মাঝে আমাদের এই কঠিন পরিশ্রম এবং কঠোর চেষ্টার সঙ্গে সবসময় নিজেকে গুছিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে। আমার আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে যে, আমাদের মধ্যে কেউ যদি আপনাদের অনুরোধ না রাখতে পারি, তবে তা ব্যক্তিগতভাবে নিবেন না। কারণ আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি তা হয়তো আপনি যা দেখছেন তা থেকে ভিন্ন হতে পারে। হুটহাট আমাদের পরিস্থিতি বিবেচনা না করে কিংবা আমরা কেমন মুডে আছি তা বোঝার চেষ্টা ছাড়াই কোনো সিদ্ধান্ত বা মতামত দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন না। আমি আমার ভক্তদের অসম্ভব ভালোবাসি এবং আমি মাঠে তাদের জন্যই খেলি সেটা জাতীয় দল হোক কিংবা কোনো লিগের জন্য হোক। একই সঙ্গে আমি আমার ভক্তদের কাছ থেকে সম্মান, ভালোবাসা এবং তারা আমাকে বুঝবে এমনটাই আশা করি। আমি জানি কিছু মানুষ, যারা হয়তো আমাকে ফলো করে অথবা করে না কিন্তু সবসময় ছোট ছোট বিষয়ে আমাকে নিচু করতে পছন্দ করে। তাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আমাদের থেকে ভালো কিছু প্রত্যাশা করতে হলে এই নিচু মানসিকতা পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রত্যেকটা ম্যাচে আমরা এমনিতেই অনেক বেশি চাপে থাকি, নতুন কোনো চাপ প্রয়োগ না করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হলো। আর এই মানসিকতার বাইরে যারা আছেন আমি সর্বদা তাদের পাশে আছি। সবার জন্য আমার তরফ থেকে ভালোবাসা রইল।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।