মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবশেষে ইমরান খানই হচ্ছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) থেকে জানানো হয়, শেষ পর্যন্ত তারা ১৮০ এমপির সমর্থন পাবেন। তাদের দাবি ইতোমধ্যে ১৭৬ এমপির সমর্থন পেয়েছেন তারা। ফলে ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া ঠেকাতে পারছে না বিরোধীরা। পাকিস্তানের মিডিয়া ডন জানায়, সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৭ এর মধ্যে ১৪৩ এমপির সমর্থন পেয়েছে ইমরান খানের দল।
পিটিআইয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী জানান, সরকার গঠনে তারা ১৮০ এমপির সমর্থন পাবেন। গত শুক্রবার পিটিআইকে সমর্থন দিয়েছে অন্যতম বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কিউ (পিএমএল-কিউ)। নির্বাচনে তিনটি আসন পায় দলটি। ফাওয়াদের দাবি, পিটিআই’র নিজের ১১৫ আসনের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ৯ সতন্ত্র এমপি। আরো চারটি সতন্ত্র প্রার্থীও তাদের ভোট দেবে। এ ছাড়া ২৭টি নারী আসন (সংরক্ষিত) ও পাঁচটি সংখ্যালঘু (সংরক্ষিত) আসনও পিটিআই পাবে বলে দাবি করেন তিনি। ফাওয়াদ আরো জানান, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) সাতটি আসনও তারা পাচ্ছেন। আরো পাচ্ছেন বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) পাঁচটি আসন, বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি-মঙ্গলের (বিএনপি-এম) তিনটি আসন, গ্রান্ড ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (জিডিএ) দুটি আসন এবং আওয়ামী মুসলিম লীগের (এএমএল) একটি আসন।
এদিকে, ইমরানের প্রধানমন্ত্রী ঠেকাতে সব চেষ্টা চালাবে বলে জানিয়েছে বিরোধী জোট। এমনকি পার্লামেন্টে নিজেদের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছে জোটের দুই প্রধান দল নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও বেনজির ভুট্টোর পিপিপি। এ লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে বিরোধী জোটের নেতারা। এ ছাড়া পিটিআইকে সংখ্যালঘু করতে গত শুক্রবার ছোট ছোট দলগুলো নিয়ে ‘অ্যালায়েন্স ফর ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন’ নামে বিরোধী জোট গঠন করেছে অপর দুই প্রধান বিরোধী দল। বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা আলোচনা করেছে পিএমএল (এন) এবং প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর পিপিপি। পাশাপাশি অন্য ছোট দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। নির্বাচনে পিপিপি ৪৩ আসন এবং পিএমএল (এন) ৬৪ আসন পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৩৪২ আসনের জাতীয় পরিষদে ২৭২ আসনে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে গত ২৫ জুলাইয়ের নির্বাচনে অনুষ্ঠিত ২৭০ আসনের মধ্যে পিটিআই পেয়েছে ১১৫টি আসন। সরকার গঠন করতে দরকার ১৩৭ আসন। সূত্র : ডন ও দ্য ইন্টারন্যাশনাল নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।