গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর জিগাতলায় ছাত্রদের উপর হামলার বিচার ও নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর পথে পথে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন মোড় অবরোধ শুরু করেন তারা। এসময় রামপুরায় সংঘর্ষ ও জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়।
দুপুর ১টার দিকে শাহবাগ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জিগাতলার দিকে যায়। এসময় পুলিশ তাদের থামাতে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড সরাতে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের সামনে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এসময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা ফের জড়ো হয়ে সীমান্ত স্কয়ারের সামনে অবস্থান নেন। এর অল্প কিছুক্ষণ পরই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন শিক্ষার্থীরা ফের পিছু হটে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে রওয়ানা হয়।
রামপুরার সংঘর্ষ
এদিকে, সকালে রামপুরায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগানে রামপুরার সড়ক অবরোধ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার চেষ্টা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে হামলাকারীরা পিছু হটে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই হামলার সঙ্গে জড়িত।
এদিকে, সাড়ে ১১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। অবরোধের কারণে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
রাজধানীর জিগাতলায় ছাত্রদের উপর হামলার বিচার ও নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর পথে পথে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন মোড় অবরোধ শুরু করেন তারা।
রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়ও অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এই সময় শিক্ষার্থীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, নৌমন্ত্রীর পদত্যাগের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে। জানতে চাইলে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, ‘কাল শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে এখানে এসেছি। একই সাথে নৌপরিবহন মন্ত্রীর পদত্যাগ এবং নিরাপদ সড়কের দাবি করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।