Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান

পরিবহন খাতে নৈরাজ্য অবসানের দাবি সুজনের

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সাথে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে পরিবহন খাতে সকল নৈরাজ্যের অবসান এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এই আন্দোলন মোকাবেলায় শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত সরকারের প্রাজ্ঞতার পরিচায়ক। গতকাল শুক্রবার সুজনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
সুজনের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা মনে করি কোমলমতি শিার্থীদের এই আন্দোলন বাংলাদেশ, এমনকি বিশ্বের ইতিহাসে এক অভ‚তপূর্ব ঘটনা। ঘাতক বাসের চাপায় দুই শিার্থীর করুণ মৃত্যু নিয়ে নৌ-মন্ত্রীর অসংবেদনশীল আচরণ ও দায়িত্বহীন মন্তব্য, এবং সড়ক নৈরাজ্য অবসানে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে সংশয়ই দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বিষ্ফোরণ ঘটেছে এ আন্দোলনর মাধ্যমে। এই আন্দোলনের পেছনে সর্বস্তরের জনগণের সমর্থনকে সরকারের জন্যে একটি শক্তিশালী সতর্ক বার্তা বলে আমরা মনে করি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইদানীংকালের আন্দোলন ও জনবিক্ষোভ সমূহের প্রবণতা থেকে এটি সুস্পষ্ট যে, জনমনে একটি সাধারণ বিক্ষুদ্ধতা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে যা বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিস্ফোরিত হচ্ছে, এবং বিােভের রেশ প্রলম্বিত হচ্ছে। সরকারের ক্রমশঃ কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে ওঠা, বিরুদ্ধমত ও মুক্তচিন্তা দমন, গণতান্ত্রিক পরিসরের সংকোচন এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোর কার্যকারিতা বিনষ্ট হওয়া সার্বিক অর্থে গণতান্ত্রিক ও সুশাসনের অভাবই জনমনে আস্থার সংকট ঘণীভূত করেছে, যার বিস্ফোরণ ঘটছে নানাভাবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং রাজনৈতিক ও নাগরিক শক্তিসমূহের ব্যর্থতার প্রেক্ষিতেই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পথে নেমে এসেছে এবং গত কয়েকদিনে তারা রাজপথের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে অভূতপূর্ব জন-শৃংখলা তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের এই ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে সকল মহলেরই শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরী। তরুণতর এই প্রজন্মের এই আন্দোলন এবং তাদের দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক কার্যক্রম আমাদের মধ্যে নতুন আশার সূচনা করেছে, এবং এরা যেন ব্যর্থ না হয় তা সরকারসহ সকল মহলকেই নিশ্চিত করতে হবে। এই আন্দোলন মোকাবেলায় শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত সরকারের প্রাজ্ঞতার পরিচায়ক। কিন্তু একই সাথে আমরা উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ্য করেছি মিরপুর ও বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর সরকার দলীয় সংগঠন ও পুলিশের হামলা। আমরা এইসব হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, এবং একইসাথে সতর্ক করতে চাই যে, কোমলমতি শিার্থীদের ওপর এই ধরণের হামলা ও নিপীড়ণের ঘটনা সরকারের জন্যে আত্মঘাতী হয়েই দেখা দেবে। আরও ধৈর্য্য, সহনশীলতা ও আন্তরিকতা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আমরা এর অবসানের দাবি জানাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবহন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ