নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল হলেও একটা সমালোচনা কখনোই পিছু ছাড়েনি ভারতকে- তাদের এই অর্জন তো দেশের মাটিতে খেলেই। কিন্তু টেস্টের আসল পরীক্ষা তে বিদেশের মাটিতে। ইংল্যান্ড সফরটা তাই বিরাট কোহলিদের অনেককিছুই প্রমাণের। তাছাড়া ৩২ বছর ধরে যে ইংল্যান্ডেও সিরিজ জেতেনি ভারত। সেই লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই ছিল ভারতের। ইংল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে তিনশ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারা কম কিসে। কিন্তু প্রথম ইনিংসে দেড়শ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে উল্টো চাপের মুখে ভারত।
ইংল্যান্ডকে তিনশ রানের মধ্যে আটকে রাখার অনুভুতিটা অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি ভারতের। ৫০ রানের জুটিতে শুরুটা ভালো হলেও এক বলের ব্যবধানে মুরালি বিজয় ও লোকেশ রাহলকে তুলে নিয়ে ইংলিশদের লড়াইয়ে ফেরান স্যাম কারান। নিজের পরের ওভারে তুলে নেন শেখর ধাওয়ানকেও। ভারতের স্কোর তখন বিনা উইকেটে ৫০ থেকে ৩ উইকেটে ৫৯। দলীয় ১০০ রানে জোড়া আঘাত হানেন বেন স্টোকস। আজিঙ্কে রাহানে (১৫) ও দিনেশ কার্তিককে (০) ফিরিয়ে ভারতকে খাঁদের কীনারে ঠেলে দেন এই অল রাউন্ডার। দুইবার ¯িøপের ফিল্ডাররা কোহলির ক্যাচ না ছাড়লে ভারতে আরো বড় খাঁদে পড়তে হতো। শেষ পর্যন্ত কোহলি-পান্ডিয়ার ৪৮ রানের জুটি ভাঙেন কারান। গতকাল দ্বিতীয় দিন চা বিরতি পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৬০ রান, পিছিয়ে ১২৭ রানে। ৫৩ রানে ব্যাট করা কোহলির সঙ্গী আশ্বিন (৬)। দিনের খেলা তখনও ৩৭ ওভার বাকি।
আগের দিন ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে দিন শেষ করে ইংলিশরা। কাল তার সঙ্গে যোগ করতে পারে মাত্র ২ রান। সর্বোচ্চ ৮০ রানের পথে সময়ের বিচারে দ্রæততম ছয় হাজার রানের রেকর্ড গড়েন ইংলিশ দলপতি জো রুট। এজন্য রুট সময় নিয়েছেন ৫ বছর ২১২ দিন। এর আগে রেকর্ডটি ছিল অ্যালেস্টার কুকের দখলে (৫ বছর ৩৩৯ দিন)। রেকর্ডের শীর্ষ ৫ ব্যাটসম্যানই অবশ্য ইংলিশ। অন্যদের চেয়ে ইংল্যান্ডের বেশি সংখ্যক টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়াই এর প্রধাণ কারণ। তবে ইনিংসের হিসাবে এই রেকর্ড ডন ব্রাডম্যানের। মাত্র ৬৮ ইনিংসে রেকর্ডটা গড়েছিলেন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। এই রেকর্ড ভাঙা যে দুঃসাধ্য ব্যাপার তা তালিকার পরের নামগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়। দুইয়ে থাকা গ্যারি সোবার্স ও স্টিভেন স্মিথের ৬ হাজার রান করতে লেগেছে ১১১ ইনিংস।
পেস উইকেটে প্রথম দিনেই দারুণ বল করেন অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন আশ্বিন। একই নিয়েছেন চার উইকেট। পেসাররাও খারাপ বল করেছে বলা যাবে না। এক্ষেত্রে অবশ্য নতুন বলে উমেশ যাদব ও ইশান্ত শর্মার তুলনায় সফল ছিলেন মাঠের বাইরে আলোচিত মোহাম্মদ সামি। ডানহাতি মিডিয়াম পেসার নেন ৩ উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।