গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রোববার বাস চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়েছে ঢাকা। রাজধানীর অবরুদ্ধ মতিঝিল, শাহবাগ, ফার্মগেট, যাত্রাবাড়ী, তাঁতীবাজার, পল্টন, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, এয়ারপোর্ট রোড, গাবতলী, কাজীপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের আন্দোলন। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গণপরিবহন সংকটে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকাল ৯টায় ফার্মগেটে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। এতে ফার্মগেট থেকে শাহবাগ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভিআইপি সড়ক অবরোধ হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। বিক্ষিপ্ত বিক্ষেঅভে একইভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, তাঁতীবাজার, পল্টন, উত্তরার আজমপুর থেকে জসীমউদ্দিন রোড, মীরপুর, মোহাম্মদপুরের বেশ কিছু রাস্তাও।
শিক্ষার্থীরা নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগসহ নয় দফা দাবিতে আজ সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেছে রাজধানীজুড়ে। মঙ্গলবারও ঢাকাজুড়ে উত্তাল ছিল শিক্ষার্থীদেও বিক্ষোভ। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তারা দাবি আদায়ের জন্য সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে। আজ সকাল থেকেই আবার সড়কে নামল শিক্ষার্থীরা। পুরো ঢাকাজুড়ে গতকালের মতো আজও বাসের সংখ্যা অনেক কম। সড়কে বাসের অপেক্ষায় অনেককে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে পায়ে হেঁটে অফিস কিংবা গন্তব্যে যাচ্ছেন অফিসগামীরা।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাবালে নূর পরিবহন লিমিটেডের একটি বাস সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় আবদুল করিম ও দিয়া খানম। এ নিয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহানে খানের বক্তব্য পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করেছে। তারই প্রেক্ষিতে রাজপথে সরব শিক্ষার্থীরা।
তিনি বলেন, আমরা গাড়ি ডাইভারশনের চেষ্টা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।