পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশের দু’শ সরকারি কলেজে অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ‘সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ স¤প্রসারণ’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ৮০৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগামী রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হচ্ছে প্রকল্পটি। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অবকাঠামোগত প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাদির স¤প্রসারণ সম্ভব হবে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণার সুযোগ বাড়বে এবং শিক্ষকদের সক্ষমতাও বাড়বে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের যেমন সৃজনশীল চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করে, তেমনি আর্থসামাজিক উন্নতির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের পথে পরিচালিত করে। কিন্তু দেশে সরকারি কলেজগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা দেখা যাচ্ছে।
সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি যুব সমাজের আগ্রহ কম। এ প্রবণতা রোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে দেশের উদ্ভাবনী ক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদে লোপ পাওয়ার সাথে সাথে গবেষণার মানও নিম্ন হবে।
বাংলাদেশে শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় তুলনায় বিজ্ঞান শাখায় ১১ দশমিক ১২ শতাংশ পরীক্ষার্থী কম।
এ পরিস্থিতিতে দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য দ্রæত সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাই দেশের ২শ’টি সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ স¤প্রসারণের জন্য বর্তমান প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছেÑ১৭৬টি সরকারি কলেজে একটি করে ছয় তলা ভবন নির্মাণ; এসব একাডেমিক ভবনে শিক্ষকদের জন্য কক্ষ, ক্লাস রুম, আইটি ল্যাব কাম ল্যাঙ্গুয়েজ রুম, মাল্টিপারপাস হল, কমন রুম নির্মাণ; ১৮টি কলেজে বিদ্যমান একাডেমিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী স¤প্রসারণ ও ছয়টি কলেজ একাডেমিক ভবনের সংস্কার; ৪৭টি সরকারি কলেজে ৬৪ শয্যার হোস্টেল নির্মাণ; ২শ’টি সরকারি কলেজে আইসিটি উপকরণ, আসবাবপত্র, অফিস ইকুইপমেন্ট সরবরাহ; ২শ’টি কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুইমিং পুল, টিএসসি কমপ্লেক্স, মাল্টিপারপাস ভবন ও ভেহিকেল পার্কিং ভবন নির্মাণ।
প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোহাম্মদ দেলওয়ার বখত পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ, বিশেষ করে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে সরকারি কলেজগুলোতে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।