পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অষ্টম বেতন কাঠামোতে বৈষম্য দূর করার দাবিতে তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছে সরকারি কলেজের শিক্ষকরা। গত ২২ জানুয়ারি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি এই কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল থেকে সরকারি কলেজের শিক্ষকরা কর্মবিরতির পাশাপাশি নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান গ্রহণ করে। এ বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি প্রফেসর নাসরীন বেগম জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দেশের সব সরকারি কলেজের শিক্ষকরা ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মবিরতিতে থাকবেন।
এর আগেও সরকারি কলেজের শিক্ষকেরা দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন। গত ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত দাবি মেনে নেয়ার আল্টিমেটামও দেয়। এই সময়ে দাবি মেনে না নেয়ায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শিক্ষা সমিতি। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ২৬, ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন ও নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান গ্রহণ করবেন। ৬ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ক্লাস বর্জন, ১৩ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস, পরীক্ষা বর্জনের সাথে সাথে কমপ্লিট শাট ডাউন করা হবে। প্রফেসর নাসরীন বেগম ইনকিলাবকে বলেন, আমরা মাসব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। প্রথম দফায় তিনদিন কর্মবিরতি দিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দাবি মেনে নেয়ার সময় দিয়েছি। তা না হলে দুই দফা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যেও দাবি মেনে না নিলে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সকল প্রতিষ্ঠান কমপ্লিট শাট ডাউন করা হবে এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ গণছুটিতে যাবে।
অষ্টম বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহাল ছাড়াও শিক্ষকদের পদ আপগ্রেডেশন এবং বৈষম্য নিরসনে সংখ্যাতিরিক্ত প্রফেসর পদ সৃষ্টির মাধ্যমে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষকরা। এছাড়া প্রফেসরদের পদমর্যাদা ও বেতনক্রম অবনমনের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পঞ্চম থেকে সরাসরি তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের পঞ্চম গ্রেডের সহযোগী অধ্যাপকরা পদোন্নতি পেয়ে চতুর্থ গ্রেডে প্রফেসর হতেন। চতুর্থ গ্রেডের প্রফেসরদের অর্ধেক সিলেকশন গ্রেড পেয়ে তৃতীয় গ্রেড পেতেন। শিক্ষকদের অভিযোগ, নতুন বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড বাতিলের ফলে প্রফেসরদের চতুর্থ গ্রেড থেকেই অবসরে যেতে হবে। ফলে মর্যাদা ছাড়াও বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।
অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মতো ১ জুলাই থেকেই পঞ্চম গ্রেডের সহযোগী অধ্যাপকদের প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে তৃতীয় গ্রেডে বেতন দিতে সরকারি আদেশ জারির দাবি জানিয়ে আসছে বিসিএস শিক্ষা সমিতি। এছাড়া নায়েম মহাপরিচালক, এনসিটিবি চেয়ারম্যান, সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা সদরের অনার্স ও মাস্টার্স কলেজের অধ্যক্ষের পদকেও গ্রেড-১ এ উন্নীত এবং মাউশি, নায়েম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক; অনার্স/মাস্টার্স কলেজের উপাধ্যক্ষ, শিক্ষা বোর্ডের সচিব এবং এনসিটিবির সদস্যদের পদকে দ্বিতীয় গ্রেডে উন্নীতের দাবি জানিয়েছে সমিতি। এছাড়া অনার্স ও মাস্টার্স রয়েছে এমন বিভাগে দ্বিতীয় গ্রেডের একজন সিনিয়র প্রফেসরের পদ সৃষ্টি, ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি এবং বিকল্প ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখার দাবি রয়েছে বিসিএস শিক্ষা সমিতির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।