পবিত্র ঈদুল আযহার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৮ আগস্ট। ১২ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ দিন যথাক্রমে ১৭ থেকে ২১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে। আর ১৫ আগস্ট থেকে বিক্রি হবে ফিরতি টিকিট। গতকাল বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার রেলভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদুল আযহার অগ্রিম টিকেট বিক্রির সূচি তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক। তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সম্পদ দিয়েই আমরা যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। রেলমন্ত্রী জানান, রেলওয়েতে প্রতিদিন ২ লক্ষ ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করে। তবে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে দৈনিক ৩ লক্ষ যাত্রী চলাচল করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আগামী ৮ থেকে ১২ অগাস্ট ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। ৮ আগস্ট বিক্রি হবে ১৭ আগস্ট যাত্রার টিকেট, ৯ আগস্ট বিক্রি হবে ১৮ আগস্টের, ১০ আগস্ট বিক্রি হবে ১৯ আগস্টের, ১১ আগস্ট বিক্রি হবে ২০ আগস্টের এবং ১২ আগস্ট বিক্রি হবে ২১ আগস্ট যাত্রার টিকিট।
ঢাকায় ফেরার অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে ১৫ আগস্ট। রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট থেকেও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এই টিকেট বিক্রি হবে।
ঈদুল আযহার আগে এবার চার দিন সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করবে বলে মন্ত্রী জানান। এ ছাড়া ঈদের পর আরও সাত দিন এসব বিশেষ ট্রেন চলবে।
ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে দুটি করে, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা-লালমনিরহাট ও ঢাকা-খুলনা রুটে এসব ট্রেন চলবে। এ ছাড়া ভৈরব-কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে ঈদের দিন চলবে শোলাকিয়া স্পেশাল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৮ আগস্ট থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তনগর সব ট্রেনের সাপ্তাহিক বিরতি বাতিল করা হবে।
এছাড়া, টিকিট কালোবাজারী প্রতিরোধে ঢাকা, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর এবং খুলনাসহ সকল বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র‌্যাব এর সহযোগিতায় টিকিট কালোবাজারী প্রতিরোধে সার্বক্ষনিক প্রহরার ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।