Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মামলার ফাঁদে ফেলে ...

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ফরিদপুরের সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের জনৈক মহিলার বিরুদ্ধে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ‘মামলার ফাঁদে’ ফেলে টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক মাস ধরে উক্ত মহিলার এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
সম্প্রতি, উক্ত মহিলা দুই গ্রামবাসীর নামে নারী নির্যাতনের মামলা করে। ফলে বিক্ষুব্দ হয়ে উঠে গ্রামবাসী। মহিলার শাস্তির দাবিতে স্থানীয়রা একজোট হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় বাজারের প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বক্তারা বলেন, পাভেল শেখ ও মোস্তফা ফকিরের নামে নারী নির্যাতনের যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা মিথ্যা। তারা অভিযোগ করে বলেন, এ নারী বিভিন্ন সময় বিত্তশালীদের বিরুদ্ধে হয়রানীমুলক মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে। বিভিন্ন সময় মামলার ভয় দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমনকি নিজের চাচাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করেছেন। গ্রামবাসীকে ফাঁদে ফেলে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় সম্প্রতি উক্ত মহিলার স্বামী তাকে তালাক দিতে বাধ্য হয়। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মেম্বার মনিরুজ্জামান আবেদ জানান, মহিলাটি এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। গ্রামের যারা সুনামধন্য ব্যক্তি তাদের জড়িয়ে আজেবাজে কথা বলে। এমনকি মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নেয়া তার পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহিলার স্বামী কুদ্দুস জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী নানা জনের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এমন কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো। গ্রাম থেকে স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে গেলেও সেখানেও সে একই কায়দায় টাকা নিতো। পরে তাকে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়। এখানে এসে পুনরায় বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে টাকা আদায় করে। তার এসব কর্মকান্ডের কারনে সম্প্রতি তাকে তালাক দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামলা


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ