Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কোয়েটায় ভোটকেন্দ্রে বোমা হামলায় নিহত ৩১ পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

রেকর্ডসংখ্যক সেনা পাহারা সত্তে¡ও সহিংসতার মধ্যে পাকিস্তানে বুধবার সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল আটটা থেকে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ও চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রেকর্ড সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়।
ভোটগ্রহণ শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভোটকেন্দ্রগুলোর আশপাশে তুমুল সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। কোয়েটা রাজ্যে একটি ভোট কেন্দ্রের পাশে এক আত্মঘাতী হামলায় তিন পুলিশ সদস্য এবং দুই শিশুসহ অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। কোয়েটার উত্তরাঞ্চলের একটি ভোটকেন্দ্রের পাশে বুধবার এ আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।।
উদ্ধারকারী দল জানাূয়, নিয়মিত টহলের সময় পুলিশ ভ্যানের কাছে এ বিস্ফোরণটি ঘটায় হামলাকারী। পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, ওই আত্মঘাতী হামলাকারী ভোটকেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করে বিস্ফোরণটি ঘটাতে চেয়েছিল।
ইতোমধ্যেই হামলাকৃত স্থানে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে বোমা^ নিষ্ক্রিয়কারী দল এবং উদ্ধারকারীরা। সেখানে তারা অবিস্ফোরিত গ্রেনেড পেয়েছে। আহতদের সান্দেমান প্রাদেশিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
৩ সেনা নিহত : নির্বাচন কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনি সামগ্রী নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি দল। মঙ্গলবার রাতে বেলুচিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৭১নম্বর আসনে এই হামলায় তিন সেনা সদস্য সহ ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা আইএসপিআর এই খবর জানায়। ওই হামলায় এক নির্বাচন কর্মীও নিহত হন। নির্বাচনি সামগ্রী ভোট কেন্দ্রে পৌঁছানোর সময় হামলার মুখে পড়েন সেনা সদস্য ও নির্বাচন কর্মীরা। আহত হয় আরও দশ সেনা সদস্য ও চার বেসামরিক নাগরিক।
এছাড়া খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াবি এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত হয় একজন। দিঘরি এলাকার মিরপুরখাসে সহিংসতায় একজনের প্রাণহানি হয়।
বুধবার (২৫ জুলাই) তবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাার মধ্যেও এদিন কোয়েটার ‘স্পর্শকাতর’ নির্বাচনি আসন হিসেবে বিবেচিত এনএ-২৬০ এর একটি স্কুলের কাছে বিস্ফোরণ হয়। এতে নিহত হয় ৩১ জন। ওই স্কুলটিতে তখন সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে ছুটে যায় পুলিশ। বিস্ফোরণের কারণ জানতে তদন্ত শুর“ হয়। কোয়েটা পুলিশ প্রাথমিকভাবে সন্দেহ প্রকাশ করে এটি আত্মঘাতী হামলা ছিল।
রয়টার্স জানায়, বুধবার আইএস-এর পক্ষ থেকে হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। কথিত বার্তা সংস্থাা আমাক-এ প্রকাশ করা বিবৃতিতে দাবি করা হয়, আইএস এর এক আত্মঘাতী ওই বোমা হামলা চালিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়নি। এ দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণও উপস্থাাপন করা হয়নি। খবর আল জাজিরা ও জিওটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ