Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩ দিনের সংঘর্ষে নিহত ৫ : হরতালের ডাক

প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতীয় কাশ্মীরে স্থানীয় জনগণের অনেকটা সমাবেশের মতো জটলাসহ বিভিন্ন তৎপরতা জিহাদিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করছে। এমন দাবী করেছেন কাশ্মীরের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা। গত কয়েক দশক ধরে হিমালয় এলাকার এই বিতর্কিত অঞ্চলটিতে জিহাদি আন্দোলন চলে আসছে। গত তিন দিনে সংঘর্ষে এখানে পাঁচজন নিহত হয়েছে। এর প্রতিবাদে কাশ্মীরে হরতাল ডাকা হয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল কাশ্মীরের শ্রীনগরের শহরতলীতে বিক্ষোভকারী ও ভারতীয় পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক বিক্ষোভকারী তখন পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে মারে। ওই বিক্ষোভটি ছিল পুলিশের গুলিতে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদ। নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর নাম শায়েস্তা হামিদ। সে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাশ্মীরি জিহাদি ও সৈন্যদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের সময় নিহত হয়।
স্কুলসংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সেখানে বসেই কান্নায় ভেঙ্গে ড়েছিলেন স্কুলের অধ্যক্ষ গুলাম আহমেদ ভাট। এ নিয়ে আঞ্চলিক সংঘাতে তার আরেক সাবেক ছাত্রের মৃত্যু হলো, বলতে বলতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, সে ছিলো তার স্কুলের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের একজন। ২২ বছর বয়স্ক ওই মেয়েটির কবর এখন কাকাপোড়া শহরে ফুল দিয়ে ঢাকা। কাশ্মীরের শিশুরা এখন শায়েস্তা হামিদের কবরের কাছে খেলা করে।
এখন নিত্যদিনই শত শত কাশ্মীরি বিশেষ করে ক্ষুব্ধ যুবক-যুবতীরা ভারত শাসিত, মুসলিম অধ্যুষিত ওই অঞ্চলটির যে স্থানে নিয়মিত জিহাদি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটতো, সেখানে সমবেত হচ্ছে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, পাথর নিক্ষেপসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মকা-ের মাধ্যমে তারা জিহাদিদের সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছে। এ ব্যাপারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা সফল হয় বলে জানান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। তাদের এ ধরনের তৎপরতায় সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানো দুষ্কর হয়ে পড়ছে বলে জানান কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের মহাপরিচালক নলিন প্রভাত। তিনি বলেন, তারা জিহাদিদের থেকে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
শ্রীনগরের দক্ষিণাঞ্চলে কাশ্মীরের গ্রামবাসী সন্দেহভাজন জিহাদি বিলাল আহমেদ ভাটের জানাজায় ব্যাপকভাবে অংশ নেয়। ১৯৮৯ সাল থেকে কাশ্মীরে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলছে। সেই থেকে এ পর্যন্ত সেখানে কয়েক হাজার লোক মারা গেছে। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৩ দিনের সংঘর্ষে নিহত ৫ : হরতালের ডাক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ