Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কংগ্রেসের আপত্তি নেই মমতা-মায়াবতীতে

প্রধানমন্ত্রিত্বের চেয়েও এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বিজেপিকে হারানো : রাহুল

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 রাহুল গান্ধীর পরিবর্তে মমতার পাশাপাশি প্রয়োজনে মায়াবতীকেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে আপত্তি নেই কংগ্রেসের। তবে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে হারাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মানতে রাজি আছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের শীর্ষ সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে এবিপি। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দাবি উঠেছিল- বিরোধী জোটে রাহুলকে মধ্যমণি করে তাকেই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করা হোক। পরে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাহুলই কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী। এর পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া প্রকাশ্যেই সমর্থন করেন রাহুলকে। কিন্তু লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী অন্য পথে হেঁটে বলে দেন, বিরোধী জোটে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার অনেকে। প্রধানমন্ত্রী পদে মমতাকে বসানো নিয়ে জল্পনা রয়েছে অনেক দিন ধরেই। মায়াবতীও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সক্রিয়। মঙ্গলবার কংগ্রেসকে কার্যত সতর্কবার্তা দিয়ে দলিত নেত্রী মায়াবতী বলেন, আসন বণ্টন ঠিকমতো না হলে জোট হবে না। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ঘনিষ্ঠজনদের রাহুল গান্ধী বার্তা দেন, বিজেপিকে রুখতে তিনি নমনীয় হতে রাজি। কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রের মতে, রাহুল মনে করেন, প্রধানমন্ত্রিত্বের থেকেও এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হল বিজেপিকে হারানো। মমতা সম্পর্কে রাহুলের মত, তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেস থেকে এসেছেন। ফলে আরএসএসের সঙ্গে তিনি থাকবেন না। পশ্চিমবঙ্গে জোট নিয়ে জটও কেটে যাবে। কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে, ভোটের পর বড় দল হিসেবে কংগ্রেস উঠে এলে অঙ্কের হিসাবেই জোটের প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল। সেটি ঠিক হবে ভোটের ফল প্রকাশের পর। যে কারণে শরদ পাওয়ারের পক্ষ থেকেও বলা হয়, মানুষ রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিলে এনসিপি বিরোধিতা করবে কেন? মোদিকে হারানোর অঙ্ক কষে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে চিদম্বরম জানিয়েছিলেন, ১২টি রাজ্যে কংগ্রেস নিজেদের শক্তিতেই শ’দেড়েক আসন পেতে পারে। আর বাকি রাজ্যে শরিকদের সঙ্গে মিলে আরও দেড়শ’। রাহুল মনে করেন, উত্তরপ্রদেশ আর বিহারে বিরোধীদের সার্বিক জোট প্রায় হয়েই গেছে। জোটের কাছে কোণঠাসা বিজেপি ওই দুই রাজ্যে তলানিতে ঠেকবে। সব মিলিয়ে গোটা দেশে কোনো অবস্থাতেই দুশর কোটা পেরোতে পারবে না তারা। তবে সেই সঙ্গে রাহুলের হিসাব, কোনোভাবে ২২০-২৪০টি আসন জোগাড় করতে পারলে অবশ্য বিজেপি ফের সরকার গড়ার পথে যাবে। এছাড়া বিজেপির আসন ২২০-এ নেমে গেলেই মোদির পক্ষে আর প্রধানমন্ত্রী হওয়া কঠিন। এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কংগ্রেস

২৯ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ