Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আজ পাকিস্তানে নির্বাচন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

আজ বুধবার পাকিস্তানের একাদশ পার্লামেন্ট নির্বাচন। পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ভারতের চির প্রতিদ্ব›দ্বী এ দেশটি পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন, বিশ্বের অন্যতম প্রধান উন্নয়নশীল অর্থনীতি ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। ২০ কোটি মানুষের এ দেশটির সাড়ে ১০ কোটিরও বেশি ভোটার আজ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
তাদের ভোটে নির্বাচিত হবে আগামীতে সরকার গঠনকারী রাজনৈতিক দল। কোনো ব্যত্যয় না হলে সে দলটিই আগামী পাঁচ বছর দেশ শাসন করবে। নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী প্রচারণাও বন্ধ হয়ে গেছে। একজন বিশ্লেষক কিছু কারণের ভিত্তিতে এবারের নির্বাচনকে ১৯৭০ সালের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে বারবার গণতন্ত্র হত্যা ও সামরিক শাসনের লৌহশৃঙ্খলে জড়িয়ে পড়া পাকিস্তানের ইতিহাসে এবার দি¦তীয়বারের মত কোনো গণতান্ত্রিক সরকার আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে যাচ্ছে।
২০১৩ সালে প্রথম গণতান্ত্রিক পন্থায় পিএমএল-এনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পিপিপি। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় সহিংসতার ঘটনা আর নানা ধরণের রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনকে বলা হচ্ছে সে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দ‚ষিত নির্বাচন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় দেশের ৪টি প্রদেশে একসাথে ভোটগ্রহণ শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে। রাত ৮ টার দিক থেকে প্রাথমিক বেসরকারী ফলাফল প্রকাশ শুরু ও রাত ২টার মধেই পূর্ণ বেসরকারী ফলাফল পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তার জন্য ৩,৭১,০০০ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে প্রধান তিনটি প্রতিদ্ব›দ্বী দল হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন), বিশ^বিখ্যাত সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে পানামা পেপার্স তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে পাকিস্তানের আদালত তাঁকে সরকারি দায়িত্বে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করে। এরপর তিনি লন্ডনে চিকিৎসারত স্ত্রী›র সাথে দেখা করতে যান। গত ৬ জুলাই পাকিস্তানের জবাবদিহিতা আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়। তিনি তখন স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে ছিলেন। ১৩ জুলাই কন্যা মরিয়মকে নিয়ে তিনি দেশে ফেরত আসেন । তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা এখন কারাবন্দি রয়েছেন।
খোলামেলাভাবে সেনাবাহিনীর সমালোচনা করায় ও ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টার কারণে সেনাবাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে এ ধরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সেনাবাহিনী। নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ে কারাগারে থাকায় তার ছোট ভাই শাহবাজ শরীফ পিএমএল-এন›এর প্রচারণার নেতৃত্ব দেন।
পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান দুই দশক আগে পাকিস্তানের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু কখনো সরকার পরিচালনা করেননি। অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, এবার সেনাবাহিনীর পছন্দের প্রার্থী তিনি। ফলে তাঁর প্রতিদ্ব›দ্বীদের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে তারা। সেনাবাহিনী ও ইমরান খান এ ধরণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তবে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া সম্ভবত সবচেয়ে বেশী গণতান্ত্রিক মনোভাবাúন্ন সেনাপ্রধান। পিটিআই বিতর্কিত কয়েকটি দলের সমর্থনপুষ্ট। যাদের একটি দল আল-কায়েদার সাথে বন্ধুভাবাপন্ন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নেয়া বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পন্ন পরিবারের সন্তান। তার নানা জুলফিকার আলি ভুট্টো ১৯৬৭ সালে পিপলস পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। তার মা বেনজির ভুট্টো ও নানা দু›জনই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের দু›জনকেই হত্যা করা হয়েছে। জুলফিকার আলি ভুট্টোকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। বেনজির ভুট্টো আততায়ীর হাতে নিহত হন।
প্রথমবারের মত সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া ২৯ বছর বয়সী বিলাওয়াল ভুট্টোর কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নেই। তিনি বলেছেন, তিনি তাঁর মায়ের স্বপ্নের ‘শান্তিপ‚র্ণ, প্রগতিশীল, উন্নয়নশীল ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তানগ্ধ প্রতিষ্ঠা করতে চান।’ নির্বাচন প‚র্ববর্তী জরিপ অনুযায়ী তার দল নির্বাচনের ফলাফলে তৃতীয় স্থানে থাকবে।
বিশ্লেষকরা বলেন, নওয়াজ শরীফের জন্মস্থান ও পাকিস্তানের সবচেয়ে ঘনবসতিপ‚র্ণ ও সমৃদ্ধ পাঞ্জাব প্রদেশ পিএমএল-এন›এর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচন হওয়া ২৭২টি আসনের অর্ধেকের বেশী আসনই এই প্রদেশে অবস্থিত। পাঞ্জাবেই প্রধান নির্বাচনী লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রদেশে জিততে হলে ইমরান খানের পিটিআই›কে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় সফলতা পেয়েছিল পিটিআই। বিশ্লেষকদের মতে, বিলাওয়াল ভুট্টো›র পিপিপি ‘গ্রাম্য জনগোষ্ঠীর’ মধ্যে জনপ্রিয়। আর তাদের সমর্থনের ভিত্তি হচ্ছে মূলত দক্ষিণের সিন্ধু প্রদেশ ।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথমত, এ পর্যন্ত দেশটির কোন প্রধানমন্ত্রীই তাদের মেয়াদ পুরো করতে পারেন নি। এর আগের সরকারগুলো অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। কখনো বা নেতারা আদালতের আদেশে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। পাকিস্তানে এবারই এমনটা ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটতে চলেছে যেখানে একটি সরকার মেয়াদ পুরো করে পরবর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেবে, যদি অস্বাভাবিক কিছু না ঘটে।
দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানি রাজনীতির এক বড় ব্যক্তিত্ব নিষিদ্ধ হয়েছেন। তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ২০১৭ সালে রাজনীতি করা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এজন্য তিনি সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন।
তৃতীয়ত, রেকর্ড সংখ্যক নারী প্রার্থী এবার ভোট-যুদ্ধে নেমেছেন । ২৭২টি পার্লামেন্টারি আসনে ১৭১ জন নারী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। পুরুষ আধিপত্য রয়েছে এমন এলাকায় প্রথম যে মহিলা প্রার্থী হয়েছেন তার নাম আলি বেগম।
চতুর্থত, উগ্রপন্থী গ্রুপগুলোও এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি গ্রæপগুলোও অংশ নিচ্ছে। এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, এভাবে উগ্রপন্থী গ্রæপগুলো মূলধারার রাজনীতিতে ঢুকে যাচ্ছে।
পঞ্চমত, ট্রান্সজেন্ডার (হিজড়া) প্রার্থীরাও নির্বাচন করছেন। লিঙ্গ পরিবর্তনকারী অন্তত ৪ জন প্রার্থী এবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাদের প্রথম নির্বাচনের অনুমতি দেয়া হয় ২০১৩ সালে।
কেন এ নির্বাচন গুরুত্বপ‚র্ণ
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে সামরিক ও বেসামরিক শাসনের মধ্যে দোদুল্যমান ছিল পাকিস্তান। দেশটিতে গণতন্ত্র সবে নতুন করে শেকড় ছড়াতে শুরু করেছে। তবে পাকিস্তানে গণতন্ত্রিক শক্তির এ নতুন উদ্ভাস উদযাপন করার সুযোগ পাচ্ছেন না খুব বেশী মানুষ।
এবারের নির্বাচনের আগে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে চলা অস্থিরতাই ছিল দেশটিতে প্রধান আলোচনার বিষয়। পিএমএল-এন›এর অভিযোগ, আদালতের সহায়তা নিয়ে দেশটির শক্তিশালী নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্দেশ্যম‚লকভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। অনির্দিষ্ট নির্বাচনী আইন ভঙ্গের দায়ে সারাদেশে দলটির প্রায় ১৭ হাজার সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে দেশটির গণমাধ্যমকেও ব্যাপক ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে এবং তাদের স্বাধীনতায় বাধা দেয়া হয়েছে। অনেকেই মনে করেন দেশের পুরোনো ধারামাফিক নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর সুবিধার্থে নির্বাচনী কৌশল সাজানোর চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন বলেছে, নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করার জন্য ‘আক্রমণাত্মক ও নির্লজ্জ’ চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যা পাকিস্তানের একটি ‘কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে’ পরিণত হওয়ার জন্য আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে। অন্যদিকে নির্বাচনে জঙ্গী সংস্থার সদস্যদের অংশগ্রহণও পাকিস্তানিদের একটি বড় চিন্তার বিষয়। ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণাকালে সহিংস আক্রমণের ঘটনাও ঘটেছে। ১৩ জুলাই বেলুচিস্তানে এক হামলায় প্রায় ১৫০ জন মানুষ মারা যায়, যার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
ফলাফল নিয়ে জল্পনাকল্পনা
প্রধান তিন দলের দুই দলই নির্বাচনের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন আর ইমরান খানের পিটিআইয়ের মধ্যে জোর লড়াই হবে।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের সারাসরি নির্বাচিত আসন হচ্ছে ২৭২। কোনো দলকে সরকার গঠন করতে হলে ১৩৭টি আসন পেতে হবে। কোনো দলই যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে পিপিপি ও অন্যান্য দলের সমর্থনে জোট সরকার গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপ‚র্ণ হতে পারে।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন পরিচালিত এক অনলাইন নির্বাচনী জরিপে ইমরান খানের পিটিআই-র বিজয় লাভের জোর সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ৪ থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে পরিচালিত এ জনমত জরিপে ১৮ হাজার ১৩৬ জনের মতামত নেয়া হয়।
সেনাবাহিনীর সাথে ইমরান খানের ঘনিষ্ঠতা ও ‘তথাকথিত ইসলামপন্থী’ জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অপেক্ষাকৃত নরম অনুভ‚তিসম্পন্ন হওয়ার ধারণার কারণে, পিএমএল-এন নির্বাচনে জিতলে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে।
পিটিআই জিতলে পিএমএল-এন শক্ত আন্দোলনে নামতে পারে, বিশেষত যদি নাওয়াজ শরীফের কারাদন্ড অব্যাহত থাকে। তবে নির্বাচনে যারাই জয় পাক, পাকিস্তানের রাজনৈতিক পটভ‚মিতে নিজেদের দাপট ধরে রাখার চেষ্টা করবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। সূত্র বিবিসি, দি ডন, আল জাজিরা ও দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।



 

Show all comments
  • Labonno Islam ২৫ জুলাই, ২০১৮, ৩:১২ এএম says : 0
    নিজের দেশ বাদ দিয়ে পাকিস্তানের খবর। এই সোনার বাংলাদেশের গনতন্ত্রের জনগণ হারায়ে গেছে। আর ভোট লাগে না। সরকার আমাদের কষ্ট লাঘব করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdur Rahman ২৫ জুলাই, ২০১৮, ৩:১৩ এএম says : 0
    দেখা যাক কি ঘটে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Käwsêr ২৫ জুলাই, ২০১৮, ৩:১৪ এএম says : 0
    নিজেদের দেশের নির্বাচন রেখে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান নির্বাচন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ