মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন আগামীকাল। এই নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণায় গুরুত্বপ‚র্ণ হয়ে উঠেছেন দেশটির অসংখ্য সুফি নেতা বা পীররা। তারা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে তাদের সমর্থন ঘোষণা করে তাদের পক্ষে ভক্ত অনুসারীদের ভোট দেওয়ার আদেশ দিচ্ছেন। অনেক পীর বা তাদের বংশধর নিজেরাও সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে একটি কমিউনিটি সেন্টার, যেখানে সাধারণত বিয়েশাদীর অনুষ্ঠান হয়, সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে কয়েকশো পীর বা সুফি সাধকদের একটি সম্মেলন। সেইসঙ্গে এখানে সমবেত হন কয়েকশো ভক্ত, যাদের মধ্যে রয়েছে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান
অংশ নেয়া প্রভাবশালী গোরা শরীফ দরবারের পীর ঘোষণা করেন, যেন অনুসারীরা সবাই ইমরান খানের দলকে সমর্থন করে। পীরের এই ঘোষণার পর তার এক মুরিদ বলেন, ‘আমরা যারা এখানে আছি, সবাই পীর সাহেবের গোলাম। তার আদেশ যাই হোক না কেন, আমরা আনন্দের সঙ্গে তা মেনে নেব। সেটি ঠিক না ভুল, তা নিয়ে আমরা বিতর্কে যাব না। তিনি যা বলবেন, আমরা তাই করব।’
এক গবেষণায় দেখা গেছে, পাকিস্তানের পার্লামেন্টের মোট সদস্যের মধ্যে ১৬ শতাংশই পীর অথবা তাদের কোনো বংশধর। তবে অনেক পীর নিজেরা সরাসরি নির্বাচনে অংশ না নিয়েও অন্য প্রার্থীদের নির্বাচনে জয়ে সহায়তা করেন।
এই ধরনের আধ্যাত্মিকতার বিষয়টি এখনও পাকিস্তানে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। ফলে পীরদের প্রভাবও ব্যাপক। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে টাকা আর জমি লেনদেনের বিষয়টিও। কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে পারে, সেটা দেখে প্রায়ই এই পীররা তাদের সমর্থন পরিবর্তন করেন।
কেন তারা এখন ইমরান খানকে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, একজন পীরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ আমরা একদিনেই এই সিদ্ধান্ত নেইনি। গুরুত্বপ‚র্ণ ইসলামিক স্কলারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন তারা সবাই নিজেদের এলাকায় ফিরে যাবেন এবং তাদের ভক্ত অনুসারীদের ইমরান খানকে ভোট দেয়ার জন্য বলবেন।’
তিনি মনে করেন, রাজনীতি আর ধর্ম পরস্পর জড়িত বিষয়।
সমাবেশে ইমরান খান ঘোষণা দেন, তিনি পাকিস্তানকে একটি ইসলামিক কল্যাণ রাষ্ট্র বানাতে চান। এর আগের ক্ষমতাসীন দল পিএমএল (এন) পার্টিও অতীতে এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর বেশিরভাগ সমর্থন পেয়েছিল। কিন্তু এখন খান সেই সমর্থন আদায় করে নিয়েছেন। এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ইমরান খানের দলের একজন নেতা শিবলি ফারাজ।
ফারাজ বলেন, ‘এটা একটি ধর্মপ্রাণ সমাজ, সুতরাং আমরা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষের কাছে যাবার চেষ্টা করছি। পীররা আমাদের সমাজে এখনও অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি, তারা অনেক ভোট সংগ্রহ করতে পারেন। তাদের ভক্তদের ওপর তাদের অনেক প্রভাব রয়েছে। আর এটাই পাকিস্তানি রাজনীতির বাস্তবতা।’ তবে তিনিও মনে করেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একদিন এসব আধ্যাত্মিকতা বাদ দিয়ে প্রার্থীদের যোগ্যতার বিষয়টি ভোটারদের কাছে প্রাধান্য পাবে।
শিক্ষা, সচেতনতা আর ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পীরদের প্রভাব এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। তবে এখনও পীররা পাকিস্তানের আধ্যাত্মিকতা আর রাজনীতির গুরুত্বপ‚র্ণ অংশ হিসাবেই রয়েছেন। সূত্র: বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।