পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দিলে আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি জনসমাগম হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, সরকারি খরচে প্রধানমন্ত্রীকে বিশাল গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছে ভাল কথা। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু, আমাদেরও একইভাবে সমাবেশ করার সুযোগ কেন তারা দেন না? বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকা অবস্থায় আমাদেরকেও জনসভা করতে দেন। আমরা প্রমাণ করব আজকে (গতকাল) আপনাদের যে জনসভা, তার চাইতে বেশি জনসমাগম হবে আমাদের সমাবেশে। আজকে (গতকাল) প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাবেন। তাহলে আমরা কেন ধানের শীষে ভোট চাইতে পারব না, আমরা কেন জনসভা করতে পারব না। গতকাল (শনিবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সংঘাতের রাজনীতির পথ সুশাসনের জন্য হুমকি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্টে রাখা সোনা তামা হয়ে যাওয়ার পেছনে সরকারকে দায়ী করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এই সোনা চুরির দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোঃ ফজলে কবীরকে পদত্যাগ করতে হবে। গভর্নরের উচিৎ হবে অবিলম্বে পদত্যাগ করা, তার নিজের সম্মান রক্ষা করার জন্য। উনি (গভর্নর) যদি ওই পদে থাকেন, সেখানে কোনো রকমের সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভবপর নয়। যার কারণে তার সরে যাওয়া উচিৎ। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সরকারের তদন্ত সংস্থাগুলো, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে যে সোনা তামা হয়ে গেছে, সোনার পরিমান কমে গেছে। আর তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) বলছে, এটা অঙ্কে হের-ফের। এটা হতে পারে? এটা দেশের মানুষ কখনও গ্রহণ করবে না। তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক হয়ে গেছে সোনা চোর এবং টাকা চোরের। যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে সমস্ত ব্যাংকগুলোকে, সেখানে তাদের ওখানে যদি ঘটনা ঘটে, তাহলে তো এখানে লুটতরাজ হবেই। সমস্ত ব্যাংকগুলোকে আজকে ফোকলা করে দেওয়া হয়েছে সরকারি দলের ব্যবসায়ী ও মদদপুষ্ট রাজনীতিবিদদের টাকা দিয়ে, ঋণ দিয়ে।
কোটা সংস্কারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কোন রায় নেই জানিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টে এমন কোনো রায় নাই যে এই কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা যাবে না। এধরনের কোনো রায় তারা দেখাতে পারবেন না। আমি আহ্বান জানাই আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা যে কোনো আইনজীবীকে, তারা এই রায়টা দেখাক। এই রায়ের অজুহাত দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী সরে এসেছেন। যে ওয়াদা দিয়েছিলেন, যে বক্তব্য তিনি সংসদে রেখেছিলেন, তিনি সেটা থেকে সরে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। তাকে ভুল বোঝানো হয়েছে।
সংগঠনের উপদেষ্টা সালমান ওমর রুবেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহও বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।