Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশ ব্যাংকে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি নেমেছে। গত জুন শেষে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের মাস মে শেষেও প্রবৃদ্ধি ছিল ১৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত মুদ্রানীতিতে জুনে বার্ষিক ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয় ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। ব্যাংকগুলোর ঋণে লাগাম টানতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত জানুয়ারিতে ঋণ আমানত অনুপাত (এডিআর) কমানোর পর থেকে তারল্যের টানাটানির ফলে প্রবৃদ্ধি কমছে।
মূল্যম্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কাক্সিক্ষত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাজারে মুদ্রা ও ঋণ সরবরাহের ধারণা দিতে প্রতি ৬ মাসের আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতির ভঙ্গি নির্ধারণে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মুদ্রানীতি ঘোষণার তারিখ ধরা হয়েছে আগামী ২৬ জুলাই। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময়ে মূল্যম্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে এবারের মুদ্রানীতির মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে এসেছে। আবার বাজারে চলমান তারল্য সংকট থাকলে কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জনও হবে কি-না তা নিয়ে সংশয়ের কথা বলেছেন অনেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু ব্যাংকের আগ্রাসী বিনিয়োগের ফলে মাঝে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছিল। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এডিআর কমানোর পর ব্যাংকগুলোতে কিছুটা তারল্য সংকট হয়েছে। আবার বিভিন্ন কারণে আতঙ্কের ফলে আমানত প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। আবার ছয় শতাংশ সুদে আমানত ও নয় শতাংশ সুদে ঋণ নেওয়ার ঘোষণাও একটা সমস্যা তৈরি করেছে। ব্যাংকগুলোও নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করছে। এসব কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়তো কমছে।
গত জানুয়ারিতে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে চলতি বছরের জুনে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয় ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬২১ কোটি টাকা। গত বছরের জুন শেষে যা ছিল সাত লাখ ৭৬ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। এতে এক বছরে ঋণ বেড়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সা¤প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ ঋণ প্রবৃদ্ধি হয় গত বছরের নভেম্বরে। ওই মাসে ঋণ প্রবৃদ্ধি বেড়ে ১৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ হয়। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।
সংশ্নিষ্টরা জানান, কয়েক বছর ধরে আশানুরূপ ঋণ চাহিদা না থাকায় অধিকাংশ ব্যাংকের কাছে প্রচুর উদ্বৃত্ত তারল্য ছিল। আমদানি বৃদ্ধিসহ কিছু কারণে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে ঋণ চাহিদা ব্যাপক বাড়তে থাকায় তারল্যের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। এতে করে এক অঙ্কের নিচে নেমে আসা ঋণের সুদহার আবার দুই অঙ্কে উঠে যায়। অনেক ব্যাংক ১০ শতাংশ বা তার বেশি সুদে মেয়াদি আমানত নিতে শুরু করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ