নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের ম্যাচে প্রথম বলেই ভেঙেছিল উদ্বোধনী জুটি। এবার লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হল জিম্বাবুয়ের বোলারদের। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে শত রানের জুটি উপহার দেওয়া ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক এবার আরও উজ্জ্বল। দারুণ ব্যাটিংয়ে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন দুই ওপেনার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে গতকাল বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ৪২ ওভারে ৩০৪ রান যোগ করে করেন ফখর ও ইমাম। ওয়ানডেতে ইতিহাসে এটাই প্রথম তিনশ রানের উদ্বোধনী জুটি। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ফখর-ইমামের ৩০৪ রানের জুটির চেয়ে বড় জুটি আছে কেবল তিনটি।
১২২ বলে ৮ চারে ১১৩ রান করে ইমাম ফিরলে ভাঙে ৪২ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটি। অন্য ওপেনার ফখর পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ৩৯৯ রান করে পাকিস্তান। ওয়ানডেতে এটাই তাদের সর্বোচ্চ। ১৫৫ বলে ২৪ চার ও ৫ ছক্কায় ২১০ রানে অপরাজিত থাকেন ফখর। ওয়ানডেতে এটি পঞ্চম ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। সেই সাথে সাঈদ আনোয়ারকেও টপকে গেলেন এই ওপেনার। ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে দেশটির হয়ে এতদিনের সর্বোচ্চ ইনিংসটি (১৯৪) দখলে রেখেছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটিং কিংবদন্তি।
ওয়ানডেতে আগের সেরা উদ্বোধনী জুটি ছিল ২৮৬ রানের। ২০০৬ সালে লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই জুটি গড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া ও উপুল থারাঙ্গা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের সেরা উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড ছিল এই দুই জনেরই অধিকারে। ২০১১ সালে পাল্লেকেলেতে তুলেছিলেন ২৮২ রান। উদ্বোধনী জুটি তো বটেই যে কোনো উইকেটেই এই প্রথম তিনশ ছোঁয়া জুটি পেল পাকিস্তান। ওয়ানডেতে তাদের আগের সেরা জুটি ছিল ২৬৩ রানের। শারজায় ১৯৯৪ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে আমির সোহেলর সঙ্গে সেই জুটি গড়েছিলেন ইমামের চাচা ইনজামাম-উল-হক। উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানের আগের সেরা ছিল ২২৮ রান। হারারেতে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের অবিচ্ছিন্ন সেই জুটি গড়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ ও ইমরান ফারহাত।
ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের তালিকায় পাঁচ নম্বরে ঢুকে গেলেন ফখর। এর আগে ভারতের রোহিত শর্মা ২৬৪ রান করেছিলেন। ডাবল সেঞ্চুরির তালিকায় রোহিত শর্মা আরও দুইবার ২০০ প্লাস রান করেছিলেন (২০৯ এবং ২০৮*)। নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল করেছিলেন অপরাজিত ২৩৭ রান। এছাড়া, ভারতের ব্যাটিং গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার ২০০*, ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ ২১৯ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল করেছিলেন ২১৫ রান। ফখর জামানেরটি নিয়ে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো আটটি।
ওয়ানডেতে ৮ ডাবলস
ব্যাটসম্যান ইনিংস প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
টেন্ডুলকার (ভারত) ২০০* দ.আফ্রিকা গোয়ালিওর ২০১০
শেবাগ (ভারত) ২১৯ উইন্ডিজ ইন্দোর ২০১১
রোহিত (ভারত) ২০৯ অস্ট্রেলিয়া ব্যাঙ্গালুরু ২০১৩
রোহিত (ভারত) ২৬৪ শ্রীলঙ্কা কোলকাতা ২০১৪
গেইল (উইন্ডিজ) ২১৫ জিম্বাবুয়ে ক্যানবেরা ২০১৫
গাপটিল (নিউজিল্যান্ড) ২৩৭* উইন্ডিজ ওয়েলিংটন ২০১৫
রোহিত (ভারত) ২০৮* শ্রীলঙ্কা মোহালি ২০১৭
ফখর (পাকিস্তান) ২১০* জিম্বাবুয়ে বুলাওয়ে ২০১৮
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।