রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নওগাঁর কুমাইগাড়ী বাইপাস-ডিগ্রির মোড় সড়কের পাশে অপরিকল্পিতভাবে পৌরসভা থেকে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আর্বজনা। ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তূপ দূর থেকে দেখলে পাহাড় মনে হবে। প্রতিনিয়ত সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দূষিত হচ্ছে আশেপাশের পরিবশে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও পথচারীরা নাক ঢেকে চলাচল করছে। বিশেষ করে অসুস্থ রুগীদের চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
পৌরসভার সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৩ সালে নওগাঁ পৌরসভা গঠিত হয়। তখন উকিলপাড়া, মাস্টারপাড়া, পারনওগাঁ, চকদেবপাড়া, হাটনওগাঁ, কালীতলা, ধর্মতলা, বাঙ্গাবাড়িয়া ও কাজিপাড়া ছিল পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত। ১৯৮৯ সালে আরো কিছু এলাকা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়। এসব এলাকা হচ্ছে, আরজি নওগাঁ, রজাকপুর, শেখপুরা, বোয়ালিয়া, জগৎসিংহ, খালিশকুড়ি, ভবানীপুর, সুলতানপুর, কোমাইগাড়ি, বরুনকান্দি, শিবপুর, চকবাড়িয়া ও চকরাম চন্দ্র গ্রাম। বর্তমান পুরো পৌরসভায় প্রায় দুই লক্ষাধিক লোকের বসবাস। শুরু থেকেই পৌরসভার বর্জ্য কোমাইগাড়ী এলাকায় ছোট যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের রাস্তা ডিগ্রির মোড়-বাইপাস সড়কের পশ্চিম পাশে ফেলা হচ্ছে। রাস্তার পূর্ব পাশে নদী। বর্তমানে কোমাইগাড়ী এলাকার যে স্থানটিতে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা হয় তার পাশেই গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকা। বর্জ্য ফেলার ওই স্থান থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরেই নওগাঁ সরকারি কলেজ ও নওগাঁ পলিটেকনিক কলেজ। ফলে কলেজের শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী এবং পথচারীদের দুর্গন্ধের কারণে সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
শীবপুর গ্রামের বাসিন্দা আকতার হোসেন বলেন, আমরা খুব কষ্ট করে ময়লা ফেলার স্থানটি পার হই। বহু বছর থেকে এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। কোনো অসুস্থ রোগী এই এলাকা পার হতে গেলে অনেক সময় বমি করে ফেলে। রাস্তার পাশে খোলা স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ফলে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন।
বক্তারপুর এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার ডিগ্রির মোড়-বাইপাস সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাওয়া-আসা করি। কিন্তু কোমাইগাড়ী এলাকার এলেই বর্জ্য ফেলার ওই স্থানটি পার হতেই যেন দম বন্ধ হয়ে যায়। এটি জনসমাগম এলাকা থেকে দূরে কোনো নির্জন স্থানে এই বর্জ্য ময়লা-আর্বজনা ফেলার ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি। তা না হলে এর আশেপাশে বসবাসরত মানুষরা বিশেষ করে শিশুরা অচিরেই কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার এস এম রাশিদুল আলম (সাজু) বলেন, ময়লা ফেলার জন্য এলাকাবাসীসহ পথচারীদের সমস্য হচ্ছে। তবে খুব অল্প দিনের মধ্যে এখানে ময়লা থেকে জৈবসার কারখানা স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে পৌরসভা থেকে প্রাথমিক কাজ শেষ করা হয়েছে। হাইকোর্টে একজন জমির মালিক রিট করার কারণে কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নওগাঁ পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক (স্যানিটারি ইন্সপেক্টর) মজিবর রহমান বলেন, পৌরসভার ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন চারটি ট্রাক ও ১৫টি ট্রলিতে বর্জ্য ভরে এনে কোমাইগাড়ী এলাকার নিয়ে ফেলে। অন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই সেখানেই ফেলতে হয়।
পৌরমেয়র নজমুল হক সনি বলেন, পৌরসভা বাধ্য হয়েই এখানে ময়লা ফেলছে। নওগাঁ পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক একটি প্রকল্প ইতোমধ্যে অনুমোদন হয়েছে। একটি বিদেশি দাতা সংস্থা এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এটি এখন টেন্ডারের অপেক্ষায় রয়েছে। চলতি বছরেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্যরে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য পরিবহনে আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও পরিশোধনাগার নির্মাণ ইত্যাদি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নওগাঁবাসীর এই সমস্যা আর থাকবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।