পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহাসড়ক নয়, যেনো ময়লার ভাগাড়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ অংশের পথে পথে ময়লার ভাগাড় জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। মহাসড়কের অনন্ত ১১টি স্পটে এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষিত করা হচ্ছে। যার কারণে মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহনের যাত্রী কিংবা পথচারীদের দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে চলতে হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার রূপসী, বরপা, বরাব, বিশ্বরোড, ভুলতা, গোলাকান্দাইলসহ যে স্থানগুলোতে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সেখানে রয়েছে বাসস্টেশন। এ স্টেশনগুলোতে বাস থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী উঠানামা করেন। ময়লা দুর্গন্ধে যাত্রীদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ময়লা আবর্জনা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কারণে ও দুর্গন্ধে পথচারীদের চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে তারাবো পৌরসভার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত কর্মীরা এসব স্থান থেকে ঠিকমতো ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে না বলেও পথচারীরা অভিযোগ করেন।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে একটি খাল রয়েছে। কল-কারখানা, হোটেল, বাড়ি ঘরের যত ময়লা আবর্জনা পরিচ্ছন্ন কর্মীরা অথবা সাধারণ মানুষ ভ্যান গাড়িসহ বিভিন্নভাবে এনে খাল ও রাস্তার পাশে ফেলেন। পরে ময়লাগুলোর মহাসড়কের পাশে এনে রাখা হয়।
তবে তারাব পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রূপসী, বরপা, বিশ^রোড ও বরাব এলাকার ময়লা কয়েকদিন পর পর ট্রাকের মাধ্যমে অন্যত্র নিয়ে গেলেও ততদিনে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ময়লার দুর্গন্ধে দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে পথচারীদের যেন দুভোর্গের শেষ নেই। ময়লা আবর্জনাগুলো পঁচে গিয়ে দুর্গন্ধ বাতাসের সাথে মিশে তা পরিবেশ দূষণ করছে এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সেই সাথে মহাসড়কের যে স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় তার আশপাশে রোপণকৃত বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা মরে যাচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষ বলেন, ময়লা আবর্জনাগুলো মহাসড়কের পাশে বাসস্টেশনের সাথে না ফেলে অন্যত্র কোনো নির্জন স্থানে ফেললে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়বে না।
সহিদ নামে এক পথচারী জানান, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। প্রতিদিন তাকে রূপসী এলাকা থেকে বাসে করে অফিসে যেতে হয়। রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে প্রতিদিন তিনিসহ হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বাস আসতে দেরি হলে ওই দিন দুর্গন্ধ সহ্য করেই বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই ময়লা আবর্জনা চারদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এতে করে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে ও জনগণের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রাসেল নামে এক গাড়ি চালক জানান, তিনি রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে গাড়ি চালাচ্ছেন। রূপসী, বরপা, বরাব, বিশ্বরোড, ভুলতা এলাকার বাসস্টেশনগুলো থাকার কারণে এখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী উঠানামা করে। মহাসড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে এগুলো পঁচে চারপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরছে। এতে করে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।
ফজলু মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, রাস্তার পাশে ময়লা ফেলার কারণে পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বৃষ্টির পানির সাথে এ সকল ময়লা আবর্জনার ক্ষতিকর পদার্থ কৃষি জমিতে গিয়ে ফসল নষ্ট করছে বলেও জানান তিনি। এ সকল কারণে কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তারাব পৌরসভার সচিব তাজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে পারবে না বলে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনটি কেটে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।