মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে সিন্ধু নদের একটি দ্বীপে ২৪ জন পুলিশকে জিম্মি করে রাখা একটি অপরাধী দলের সঙ্গে ১০ দিন ধরে লড়াই করছে দেশটির পুলিশ ও সহযোগী সশস্ত্র বাহিনীগুলো। তথাকথিত চোট্টু গ্যাং-এর সঙ্গে চলা এ লড়াইয়ে এ পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ছয়জন পুলিশ নিহত হয়েছে।
সিন্ধু নদের যে দ্বীপটিতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে তা ঘনবনে আচ্ছাদিত। সিন্ধু ও বেলুচিস্তান প্রদেশের সীমান্তের নিকটবর্তী কাচি মুরো নামের এই এলাকটি সিন্ধু নদের তীরবর্তী রাজনপুর ও রহিম ইয়ার খান জেলার মাঝে অবস্থিত। ঔপনিবেশিক সময় থেকে এলাকাটি ডাকাত ও বিদ্রোহীদের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বলে জানা গেছে। খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চোট্টু গ্যাং কয়েকশ’ অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরাধী দলটির নেতা গুলাম রাসুল ওরফে চোট্টু গত শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন, তার দল পুলিশের কাছে না, সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে, কারণ সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধা করে তারা।
দলটির বিরুদ্ধে অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর এক হাজার ৫০০ সদস্যকে নিয়োগ করা হয়েছে। নজিরবিহীন এই অভিযানে হেলিকপ্টার গানশিপ মোতায়েনের কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। পাঞ্জাবের আইনমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, অপরাধী দলটির কাউকেই পালিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। অপরাধীদের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা না করার বিষয়ে রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা একমত হয়েছেন। তাদের হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে অথবা পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশেষ হয়ে যেতে হবে। অজ্ঞাত এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে ডন সংবাদপত্র জানিয়েছে, দ্বীপটিতে আক্রমণ চালানোর মতো নৌকা, অস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় রসদের অভাব আছে পুলিশের। স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা দুটি নৌকা নিয়ে আমরা অভিযানে নামি, কিন্তু হামলার শিকার হই, বলেন তিনি।
১০ হাজার মানুষ অধ্যুষিত এলাকাটিতে চোট্টু তার বাহিনী নিয়ে নিরাপদ আস্তানা গড়ে তোলে। স্থানীয়ভাবে কোনো অপরাধ না করায় এবং এলাকাবাসীকে সহায়তা করায় স্থানীয় লোকজনের সমর্থন পেয়ে আসছেন চোট্টু। করাচি, লাহোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে অপহরণ করে এখানে আটক করে রাখে চোট্টুর দল। পরে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। স্থানীয় মানুষের সমর্থনের কারণে পুলিশের এক সময়ের ইনফর্মার চোট্টু বিষয়ে কোনো তথ্য সংগ্রহে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। পাশাপাশি একই কারণে চোট্টুর আস্তানা এলাকায় পুলিশের প্রবেশ অসাধ্য হয়ে ছিল। বিবিসি, দ্য ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।