Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডাক্তারদের নৈতিকতা নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

চুয়াডাঙ্গার চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের সবারই একটি চোখ ভালো আছে এমন প্রতিবেদন দাখিল করায় ডাক্তারদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। চোখ হারানোর ঘটনায় আদালতে উপস্থাপন করা বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তারের সমন্বয়ে গঠিত ৬ সদস্যের কমিটির ইম্প্যাক্ট মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের বিষয়ে প্রতিবেদনের বিষয়ে দেয়া বক্তব্য নিয়ে আদালত এমন মন্তব্য করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও রোগ নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনাকে সভাপতিত্বে বিশেষজ্ঞ কমিটি করে তারা বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করা চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিতে আসা সব রোগীর অপারেশনকৃত চক্ষু নষ্ট হলেও অন্য চক্ষু এখনও ভালো আছে, অর্থাৎ একচোখ দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন সবারই এক চোখ ভালো আছে বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনে এমন বক্তব্য থাকায় আদালত ডাক্তারের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
মঙ্গলবার ডাক্তারদের দ্বারা গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন। গতকাল বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন ঠিক করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অমিত দাস গুপ্ত, সুভাষ চন্দ্র দাস ও মো. শাহিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এবিএম আব্দুল­াহ আল মাহমুদ বাশার। সেন্টারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওষুধ প্রশাসনের পক্ষে ছিলেন কামাল হেসেন। আদালত বলেন, আমাদের ডাক্তারের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, তবে তাদের কোনো ধরনের অবহেলা ছিল কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
শুনানিতে অমিত দাস গুপ্ত বলেন, সেখানে তিনদিন অপারেশন করেছে ইম্প্যাক্ট কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিন ও তৃতীয় দিন চক্ষু অপারেশনকারীদের চোখে সমস্যা ধরা পড়লেও মাঝের দিন অর্থাৎ দ্বিতীয় দিন যে ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে সেটি জীবানু মুক্ত কি-না? এ সময় আদালত বলেন, সেটি দেখবার দায়িত্ব কার? এ কারণে দেখা দরকার সেদিন ওষুধে কোন সমস্যা ছিল না। এছাড়া আইরিশ কোম্পানিকে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য বলেছেন আদালত। কারণ আইরিশ কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল রোগীদের চোখে। তাই মামলায় পক্ষভুক্ত করার পর তাদের বক্তব্য মশোনবে আদালত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ